এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৯ অক্টোবর : পুলিশকে পিটিয়ে অভিযুক্ত দলীয় নেতাকে লকআপ থেকে মুক্ত করল তৃণমূলের যুব সভাপতি,এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । হামলাকারী তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার পরিবর্তে পুলিশ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও তিনি দাবি করেছেন । আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭:৩৭ নাগাদ এক্স-এ একটা পোস্টে এই খবর জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী । তিনি লিখেছেন,’অভিযোগ উঠেছে যে টিএমসি ক্যানিং-১ ব্লকের যুব সভাপতি অরিত্র বোস আজ ক্যানিং থানার ভিতরে পুলিশকে মারধর করেন এবং তৃণমূল যুব নেতা জয়ন্ত ঘোড়াইকে লকআপ থেকে জোর করে ছেড়ে দেন । তারা দুজনেই ক্যানিং পশ্চিমের টিএমসি বিধায়ক পরেশ দাসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।’
ঘটনার বিবরণে তিনি লিখেছেন,’খবর রয়েছে যে জয়ন্ত কালী পূজার জন্য অনুদান চাওয়ার আড়ালে যানবাহন থেকে অর্থ আদায় করছিলেন। খবর পেয়ে ক্যানিং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ বেধে যায়। পুলিশ জয়ন্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আধা ঘণ্টা পর অরিত্র বোস; যিনি পঞ্চায়েত সমিতির কর্মধক্ষ্যও, তিনি তার দলবল নিয়ে থানায় পৌঁছে যান । এরপর তিনি জয়ন্তকে আটককারী এসআইকে মারধর করেন এবং জয়ন্তকে অবৈধভাবে মুক্তি দিতে জোর করে লকআপ খুলে দেন।’
শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’তারপর থেকে ক্যানিং থানাত আইসি সৌগত ঘোষ এবং ক্যানিং এসডিপিও রাম কুমার মন্ডল বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন যাতে অরিত্র বোস এবং জয়ন্ত ঘোড়াই মুক্ত হতে পারেন।’ তিনি রাজ্যের পুলিশ কর্তার উদ্দেশ্যে লিখেছেন,’আমি পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপিকে সঠিক তদন্ত করার জন্য এবং সিসিটিভি ফুটেজ প্রেসে প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ করছি যাতে সত্যটি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে এবং যদি ঘটনাটি সত্য হয় তবে যারা থানার মধ্যে পুলিশ সদস্যদের রুক্ষ করার সাহস দেখিয়েছে,সেই অপরাধীদের আইনের বিধান অনুযায়ী উপযুক্ত শাস্তি পেতে হবে।’।