এইদিন ওয়েবডেস্ক,হাওড়া,০৯ জুলাই : দম্পতির অশান্তির মীমাংসা করতে এসে বধূর শ্বশুরবাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের উপপ্রধান ও তার দলবলের বিরুদ্ধে । ঘটনাস্থল হাওড়া জেলার সাঁকরাইল থানার কান্দুয়া এলাকা । অভিযোগ, সাঁকরাইলের কান্দুয়ার বাসিন্দা শাহাবুদ্দিন সেপাই নামে এক যুবককে বেদম মারধরের পাশাপাশি বাড়ি, একাধিক গাড়ি, বাইক,বেশ কিছু প্লাস্টিকের চেয়ার ভাঙচুর এবং লুটপাট চালিয়েছে পাঁচলার জুজুরসাহা গ্রাম পঞ্চায়েতে উপপ্রধান শেখ খলিল আহমেদের নেতৃত্বে তার গুন্ডাবাহিনী । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সাঁকরাইল থানার পুলিশ । তবে আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কোনো গ্রেফতারির খবর নেই বলে জানা গেছে ।
জানা গেছে, কান্দুয়ার বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন সেপাইয়ের মেয়ের বিয়ে নিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি চলছিল । দিন কয়েক আগে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী । তখন থেকে তিনি বাপের বাড়িতেই রয়েছেন । সোমবার রাতে দুই পরিবার মীমাংসায় বসে । বধূর পক্ষে উপপ্রধান শেখ খলিল আহমেদসহ ২০-২২ জনের একটা দল গিয়েছিল শাহাবুদ্দিন সেপাইয়ের বাড়িতে । সালিশি সভা চলাকালীন দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে । তার মাঝেই শাহাবুদ্দিনকে গালিগালাজ এবং ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । তিনি প্রাণ বাঁচিয়ে কোনো রকমে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান । ইতিমধ্যে খলিল ফোন করে তার দলের আরও লোকজন ডাকেন । ফোন পেতেই দুটি পিকআপ ভ্যান এবং অন্তত ৫০ টি বাইকে চড়ে ১৫০ থেকে ২০০ জন সেখানে উপস্থিত হয় । তারপর উপপ্রধান শেখ খলিল আহমেদসহ দলটি শাহাবুদ্দিন সেপাইকে হন্নে হয়ে খুঁজতে শুরু করে । শাহাবুদ্দিনের বাড়ির কিছুটা দূরেই রয়েছে তার ভাইপোর বাড়ি । খলিলের সন্দেহ হয় সেখানেই লুকিয়েছে শাহাবুদ্দিন । তার বাহিনী শাহাবুদ্দিনের ভাইপোর বাড়িতে চড়াও হয় । শুরু হয় ব্যাপক তাণ্ডব । বাড়ির সামনে থাকা চারচাকা গাড়ি, মোটরসাইকেল, মালবাহী গাড়ি,সাইকেল, এমনকি ঘরের চেয়ার টেবিল পর্যন্ত ভাঙচুর চালায় খলিলের বাহিনী । পাশাপাশি আলমারি ভেঙে নগদ ৪০,০০০ টাকা, সোনার গয়না লুটপাট চালানো হয় বলে অভিযোগ । কেড়ে নেওয়া হয় কয়েকটি দামি স্মার্টফোনও । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সাঁকরাইল থানার পুলিশ। কিন্তু তার আগেই চম্পট দেয় হামলাকারীরা ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,তৃণমূলের উপপ্রধান শেখ খলিল আহমেদ অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত । কিন্তু শাসকদলের ছত্রছায়ায় থাকায় তার টিকিও ছুঁতে পারে না পুলিশ । সোমবারের খলিল আহমেদ ও তার বাহিনীর তান্ডবের পর ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায় ।।