এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৮ জুন : কসবার আইন কলেজের ছাত্রীকে গনধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূলের ছাত্রনেতা মনোজিৎ মিশ্র (৩১), জাইব আহমেদ (১৯) এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায় (২০)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । ওই তিনজনের মধ্যে কে মূল আসামি এখনো স্পষ্ট নয় । এদিকে তৃণমূলের তাবড় শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের সাথে দেখতে পাওয়া মনোজিতের একটা পুরনো পোস্ট ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । পোস্টটি ২০২৪ সালের ১৬ ই আগস্টের । সেই পোস্টে মনোজিৎ ধর্ষকদের ফাঁসিতে ঝোলানোর পক্ষে সওয়াল করেছিল । পোস্টে লেখা হয়েছিল,”বাংলার অগ্নিকন্যা । ধর্ষকের ফাঁসি চাই নাটক নয় বিচার চাই । অবিলম্বে বিচার চাই। দোষী দের ফাঁসি চাই ৷” সবশেষে “#ধর্ষকের ফাঁসি চাই” লেখা হয় ।
আসলে আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুনী চিকিৎসক অভয়ায় ধর্ষণ খুনের পর ওই পোস্ট করে মনোজিৎ মিশ্র । যদিও আজও অভয়ার বাবা-মা ন্যায়বিচার পাননি বলে মনে করছেন । কারন এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় নামে টালা থানার যে সিভিক ভলান্টিয়ার বর্তমানে জেলে আছে, সে ছাড়া বাকি আসামিরা রাজ্য সরকার,কলকাতা পুলিশের ‘ষড়যন্ত্রের’ কারনে আজ মুক্ত বলে মনে করছেন তারা ।
যাই হোক,মনোজিৎ মিশ্রর ওই পোস্ট প্রকাশ্যে আসার পর নেটিজেনরা মন্তব্য করেছেন যে তার ইচ্ছাপূরণ করা হোক,অর্থাৎ ফাঁসিতে ঝোলানো হোক । তবে সাউথ ক্যালকাটা ল’কলেজে গণধর্ষণে অভিযুক্ত টিএমসিপি ইউনিটের প্রাক্তন সভাপতি মনোজিৎ মিশ্রের এর আগেও পুলিশের খাতায় নাম ছিল । ২০১৭ সালে সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে ভাঙচুরের ঘটনায় তার নেতার বিরুদ্ধে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। মনোজিতকে আটকও করে পুলিশ।
এদিকে ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার শক্তিপল্লী গ্রামে এক ১৪ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনাকেও পুলিশ আত্মহত্যা বলে চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল । আজ তিনি ঘুঁটিয়ারি সরিফ পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে ডিউটি রত অফিসার সুকুমার রুইদাশের সামনে প্রশ্ন তোলেন, ‘কোন বিষয়ক্রিয়ায় মেয়েটির সারা মুখে ক্ষতের সৃষ্টি হল এবং নিচের ঠোঁট কেটে ঝুলে গেল ?’ ওই আধিকারিক কোনো সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি বলে দাবি করলেন অগ্নিমিত্রা তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘কোন নেতার কথায় কাদের বাঁচাতে চাইছেন ?’
বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল লিখেছেন,’গত ১৬ জুন, ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার শক্তিপল্লী গ্রামে এক ১৪ বছরে বাচ্চা মেয়ে কে ধর্ষণ করে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে, কিন্ত পুলিশ এটিকে বিষক্রিয়াতে মৃত বলে কাটিয়ে দিতে চাইছে। এমন কি নির্যাতিতার মামা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ তাদের শারীরিক হেনস্থা করে। আজ ক্যানিং শক্তিপল্লীতে নির্যাতিতার মা এবং প্রতিবেশী দের সঙ্গে সাক্ষাত করলাম, যতদিন না এই বোনটি ন্যায্য বিচার পাবে আমাদের লড়াই চলবে। বিজেপির কার্যকর্তাদের ধমকে চমকে লড়াইয়ের পথ থেকে সরানো যাবে না। আমার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক সভাপতি উৎপল নস্কর, বিভাগ কো ইনচার্জ দীপঙ্কর জানা এবং আমাদের অসংখ্য কার্যকর্তাগণ।’।