এইদিন ওয়েবডেস্ক,কোচবিহার,০৯ আগস্ট : কোচবিহারে প্রকাশ্য দিবালোকে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলেকে গুলি করে খুন করে পালালো বাইকে চড়ে আসা দুষ্কৃতীদল । আজ শনিবার বিকেলে কোচবিহার-২ ব্লকের ডোডেয়ারহাটে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে । মৃত অমর রায় পুন্ডিবাড়ির ডাওয়াগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের ছেলে । দুষ্কৃতীদের গুলিতে আহত হয়েছে তার গাড়ির চালক । বর্তমানে তিনি কোচবিহার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । এদিকে এই ঘটনার দায় বিজেপির ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ । যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ বর্মন ঘটনাটি শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলশ্রুতি হিসাবে দাবি করে বলেছেন, ‘তৃণমূল মারছে এবং তৃণমূল মরছে ।’
জানা গেছে,এদিন বিকেলে অমর রায় নিজের গাড়িতে সঙ্গীদের নিয়ে ডোডেয়ারহাটে বাজার করতে গিয়েছিলেন। । বাজার করে ফেরার পথে তাঁদের পথ আটকায় দুই বাইকে চড়ে আসা দুষ্কৃতীরা৷ তারা প্রত্যেকেই মাথায় হেলমেট পরেছিল । কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুষ্কৃতীরা অমর রায়কে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন অমর । গুলিবিদ্ধ হন তার গাড়ি চালকও। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক অমরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চালককে কোচবিহার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয় ।
মন্ত্রী উদয়ন গুহর দাবি,’যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে বিজেপির প্রভাব আছে । বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখুক ।’ অন্যদিকে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ বর্মন বলেন,’তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে । তৃণমূলের বর্তমান জেলা সভাপতি অভিজিৎ ভৌমিক
এবং প্রাক্তন জেলা সভাপতি ও পুরসভার চেয়ারম্যান রবি ঘোষ গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের কারণেই পঞ্চায়েতের প্রধানের ছেলেকে খুন হতে হলো ।’ তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নাই৷ আইনের শাসন না থাকার কারণে এই অধঃপতন । গোটা কোচবিহার জেলা জুড়ে বোমা বন্দুকের সংস্কৃতি চলছে । ফলে তৃণমূল মারছে এবং তৃণমূল মরছে । আইনের শাসন যদি ঠিক থাকতো তাহলে এই ঘটনা ঘটতো না ।’।