এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২৯ নভেম্বর : শুক্রবার রাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার ভুমশোর গ্রামে বছর ৪০ বয়স্কা মহিলা মস্তুরা খাতুন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান ৷ এই মৃত্যুকে ইস্যু করে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইএর বিরোধিতায় নেমেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস । এসআইএর-এর বিরোধীতাকে আরও জোরদার করতে আজ শনিবার সন্ধ্যায় বীরভূমের দলীয় কর্মসূচি সেরেই দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশ ভুমশোর গ্রামে চলে আসেন সাংসদ তথা যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। এসেই তিনি এসআইআর-কে বিজেপির বিজেপির চক্রান্ত বলে অবিহিত করেন । বিজেপির পাশাপাশি তোপ দাগেন নির্বাচন কমিশনের দিকেও ।
ভুমশোর গ্রামের মসজিদপাড়ায় বাড়ি মুস্তরা খাতুন কাজির । ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় মুস্তরা খাতুন কাজির নাম ছিল। শুক্রবারেই তিনি এস আই আর ফর্ম ফিলাপ করে জমা দিয়েছিলেন। এরপর রাতে বাড়িতেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান ওই মহিলা ।কিন্তু পরিবারের দাবি যে ভোটার তালিকায় নাম উঠবে কিনা এনিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন মুস্তরা । পরিবারের এই দাবি শুনেই আসরে নেমে পড়ে তৃণমূল । তৃণমূলের লোকজন ভাতার বিডিও অফিস চত্বরে একপ্রস্ত বিক্ষোভও দেখায় । আগামী কাল ভুমশোর গ্রামে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন স্থানীয় বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী ।
এদিকে সন্ধ্যা নাগাদ মানগোবিন্দ ও অনান্য দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ভুমশোর গ্রামে হাজির হন সায়নী ঘোষ। তিনি পরিজনের সঙ্গে কথা বলেন পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের তৃণমূলের ক্যাম্প থেকে গননা ফর্ম ফিল আপ করার পরামর্শ দেন । সায়নী বলেন, ‘সকলে নির্ভয়ে এস আই আরের ফর্ম ফিলাপ করুন। যার যা তথ্য আছে তাই দিয়ে ফর্ম জমা দিন। শুনানীর আগে পর্যন্ত কেউ কিছু করতে পারবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে নেবেন।’ তিনি আরও বলেন,’এই প্রাণগুলো যে চলে যাচ্ছে তার দায় কার? জ্ঞানেশ কুমার তো দিল্লিতে বসে আছে এসি ঘরের মধ্যে। নরেন্দ্র মোদি তো বিদেশ ভ্রমণ করে বেড়াচ্ছেন। অথচ একের পর এক মানুষ আতঙ্কে মারা যাচ্ছেন। বাংলার মানুষের প্রাণ চলে গেলে নরেন্দ্র মোদি জ্ঞানেশ কুমারের কিছু আসে যায় না। আমাদের আসে যায়। মমতাদি অভিষেকদা বাঙালির প্রতি সহানুভূতিশীল। মানুষের পাশে আছেন।’ দু’মাসের মধ্যে ১২ কোটি মানুষের এসআইআর সম্পূর্ণ করাকে বিজেপির ভয় দেখানোর কৌশল বলেও মন্তব্য করেছেন সায়নী ঘোষ ।।

