এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৩ ফেব্রুয়ারী : মুসলিমদের অত্যাচারে দু’দশক আগে বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ ৪৮ বর্ষীয়া মহুয়া মৈত্র- এমনই দাবি করেছে “বাংলা আনটোল্ড” নামে এক টুইটার ইউজার্স । ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ দুপুর ১.৫৩ নাগাদ ওই অ্যাকাউন্ট থেকে একটি টুইট করা হয়েছে । তাতে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, ‘এই মহিলা বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন । ২০০২ সালে জামায়াত-বিএনপি জোট ক্ষমতায় এসে হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণ শুরু করলে, মহিলাটি তার সম্মান বাঁচাতে তার পরিবারের সাথে পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে যায় ।’ পরে আরও একটি টুইটে লেখা হয়েছে, ‘সম্ভবত তিনি ২০০২ সালের আগে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন ।’
পাশাপাশি মহুয়া মৈত্রের ফেসবুক পেজ বলে দাবি করা একটি পেজের কিছু ছবির স্ক্রীন শট যোগ করা হয়েছে ওই টুইটে । ২০২২ সালের ৫ অক্টোবর পোস্ট করা ওই ছবিগুলিতে মহুয়া মৈত্রকে বেশ কিছু মহিলার সঙ্গে পূজা উদযাপন করতে দেখা গেছে । ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে,’টাঙ্গায়িলের মির্জাপুরে পরিবারের সঙ্গে দশমীর পূজোয় ।’
এদিকে এনিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে । ওই টুইটের উত্তরে নাজমুল হক নামে এক ইউজার্স উইকিপিডিয়ায় মহুয়া মৈত্রের অতীত জীবন সম্পর্কীয় তথ্যের স্ক্রীন শট পোস্ট করে লিখেছেন, ‘মিথ্যা কথা বলবেন না ।’
এর উত্তরে “বাংলা আনটোল্ড” পশ্চিমবঙ্গের সংবাদপত্র ‘এই সময়’-এর একটি প্রতিবেদন পোস্ট করেছে । ২০২২ সালের ৬ অক্টোবর প্রকাশিত ‘বাংলাদেশে বাড়ির পুজোয় সিঁদুর খেলায় মাতলেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘দীর্ঘদিন পর এবছর বাংলাদেশে নিজের বাড়ির পুজোয় তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এবছর দশমী কাটালেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।’
এদিকে ‘কার্ডরাইস’ নামে এক ইউজার্স প্রশ্ন তুলেছেন,’তিনি বাংলাদেশী হলে কি করে এমপি হন। তাকে কি অযোগ্য ঘোষণা করা উচিত নয় ?’ সৌমিক নামে এক ইউজার্স লিখেছেন,’ভুয়া খবর ছড়ানো বন্ধ করুন। তিনি আসামের কাছাড় জেলায় জন্মগ্রহণ করেন ।’ তবে এই বিতর্কের মাঝে তৃণমূল সাংসদের তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ।।