এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০৮ ফেব্রুয়ারী : লোকসভার অধিবেশনের মাঝে বিজেপি সাংসদকে “হারামি” বললেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র । মঙ্গলবার স্পিকার ওম বিড়লার পরিবর্তে ভারপ্রাপ্ত স্পিকার ভৃথারি মাহতাব লোকসভার কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন । ‘আদানি গ্রুপ’ সংক্রান্ত বিষয়টি উত্থাপন করার পর মহুয়া মৈত্র নিজের চেয়ারে বসে পড়েন । তারপর বক্তব্য রাখতে শুরু করেন টিডিপি সাংসদ রামমোহন নাইডু । তাঁর বক্তব্যের মাঝেই নিজের চেয়ার থেকে মুহুর্তের জন্য উঠে দাঁড়িয়ে বিজেপি সাংসদের উদ্দেশ্যে ওই কদর্য শব্দ প্রয়োগ করেন মহুয়া । জানা গেছে,এ বিজেপি সাংসদের উদ্দেশ্যে তৃণমূল সাংসদ ওই প্রকার শব্দ প্রয়োগ করেছেন তিনি হলেন রাম বিধুরী ।
একজন মহিলার মুখ থেকে এই প্রকার অত্যন্ত আপত্তিকর ও অশালীন ভাষা শোনার পর উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা সংসদ । মহুয়া মৈত্রকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি ওঠে । জানা গেছে,স্পিকার ভৃথারি মাহতাব মহুয়ার রেকর্ডিং হাউসের কার্যক্রম থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মহুয়ার ভাষা শোনা মাত্রই কান থেকে হেডফোন খুলে ফেলল স্পীকার । এর পরে তিনি বলেন যে কিছুই রেকর্ড করা হবে না। কিছু অত্যন্ত আপত্তিকর ও অশালীন শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীকে টিএমসি দলের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলতেও বলেছেন ।
এদিকে ওই অশালীন ভাষা প্রয়োগের পর মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে টুইটারে ট্রেন্ডিং শুরু হয়ে গেছে । কেউ কেউ এমন আচরণকে লজ্জাজনক বলে আখ্যায়িত করেছেন আবার কেউ মহুয়া মৈত্রের আচরণকে ব্যঙ্গ করেছেন ।
বিজেপি নেতা শাহজাদ জয় হিন্দ লিখেছেন,’বারবার অপরাধ করা মহুয়া মৈত্র সীমানা অতিক্রম করেছেন । পার্লামেন্টে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ! এর আগে তিনি একজন সাংবাদিককে আপত্তিকর ভঙ্গিতে গালি দিয়েছেন, মা কালীকে অপমান করেছেন, ব্রাহ্মণদেরকে “টিকিধারী রাক্ষস” বলে আক্রমণ করেছেন। টিএমসি কি এখনও তাকে রক্ষা করবে ? নাকি নিন্দা করবে এবং তার উপর কোনো ব্যবস্থা নেবে ।’
অবসরপ্রাপ্ত মেজর গৌরব আর্য মহুয়ার একটি পুরনো টুইট রিটুইট করে লিখেছেন,’মহুয়া মৈত্র জি, আপনি অবশ্যই সেন্সরশিপ গ্রহণ করার জন্য বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত হননি । তাহলে তা বলবৎ কেন? অনুগ্রহ করে প্রফেসর অম্বিকেশ মহাপাত্রকে তার ১১ বছর ফিরিয়ে দিন এবং আমাকে “আনসেন্সর” করুন, যখন আপনি এটিতে আছেন ।’ বিজেপি সাংসদ এএনআইয়ের কাছে প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন,’তার জিহ্বা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত এবং অতিরিক্ত উত্তেজিত এবং আবেগপ্রবণ হওয়া উচিত নয় । সংসদের প্রতিটি সদস্য একজন সম্মানিত ব্যক্তি ।’।