এইদিন ওয়েবডেস্ক,দুর্গাপুর,০৪ এপ্রিল : সস্তা প্রচারের লোভে উদ্ভট মন্তব্য করে বসলেন বর্ধমান- দুর্গাপুরের তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ । শনিবার দুর্গাপুরে নিজের বাসভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি মন্তব্য করেন, কাশ্মীরের পহেলগামে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারই নাকি সন্ত্রাসীদের ঢুকিয়েছিল । তার কথায়, ‘দেশে জঙ্গি ঢুকিয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ নাটক করছে কেন্দ্র সরকার৷ আসলে সবটাই ‘টাই টাই ফিস ফিস, ঠনঠন গোপাল ।’
তিনি পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জন্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির ব্যার্থতাকেই দায়ি করেন । পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে বিজেপি নেতাদের মমতা ব্যানার্জির সমালোচনারও প্রতিবাদ করেন কীর্তি আজাদ । তিনি বলেন,’দেশের ইন্টেলিজেন্স বিভাগ পুরোপুরি ব্যর্থ।। আর কোনও কিছু হলেই বিজেপি বাংলায় বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ নিয়ে রাজ্যের সমালোচনা করে।’ তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পহেলগাঁওয়ে যেতে পারলেন না। কাশ্মীর ইস্যুতে সর্বদলীয় বৈঠকে থাকতে পারলেন না। অথচ বিহারে গিয়ে সভায় বক্তব্য রাখলেন সে রাজ্যের বিধানসভা ভোটের জন্যে। এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে? পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে এত দেরি কিসের? কেন ব্যর্থ গোয়েন্দা বিভাগ?’
পাশাপাশি শনিবারের সাংবাদিক বৈঠকে নিজের এক বছরের কাজের খতিয়ানও তুলে ধরে কীর্তি আজাদ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বলেন, ‘২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় হেরে যাওয়ার পর থেকে বিজেপি বাংলায় সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজে অন্তরায় তৈরি করছে। ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বাংলাকে বঞ্চিত করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। সেজন্য বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি খোলার ব্যাপারে লোকসভায় প্রশ্ন করার পরেও কোনও সদুত্তর মেলে না।’ যদিও ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে জেতার পর তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদকে সচারাচর এলাকায় দেখা যায়না বলে অভিযোগ ওঠে । এছাড়া মূলত হিন্দিভাষী হওয়ার কারনে এলাকার মানুষ তাদের অভাব অভিযোগের কথা সাংসদের কাছে তুলে ধরতে পারেন না বলেও অভিযোগ । আগের বিজেপি সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া বাংলাভাষায় সাবলীল হওয়ায় এবং নিয়মিত এলাকায় ঘুরে বেড়ানোয় বিভিন্ন সমস্যার কথা তার কাছে তুলে ধরতে তেমম সমস্যা হত না বলেও জানিয়েছেন তারা ।।