জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরা(পূর্ব বর্ধমান),২০ ফেব্রুয়ারী : শুধু ভোটের সময় নয় ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর থেকেই কর্মীদের নিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কুশল মুখার্জ্জী বিভিন্ন ওয়ার্ডে নিয়মিত জনসংযোগ করে গেছেন। এলাকার ভারপ্রাপ্ত নেতা অনুব্রত মণ্ডলের আশীর্বাদ ও স্থানীয় বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডারের সহযোগিতায় পৌর প্রশাসক মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য হিসাবে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে পৌঁছে দিয়েছেন বা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন উন্নয়নের ছোঁয়া। শুধু উন্নয়ন ও জনসংযোগ যদি ভোটে জেতার একমাত্র মাপকাঠি হতো তাহলে ভাতারের রূপকার ভোলানাথ সেন নির্বাচনে পরাস্ত হতেন না। এরজন্য দরকার প্রচার। আসন্ন পুরভোটে এই জায়গাতেও বিরোধীদের থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে আছে গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেস। কুশল মুখার্জ্জীর নেতৃত্বে ক্ষেত্র প্রস্তুতের কাজ আগেই সাড়া ছিল। তারপর সেখানে বিধায়ক, আউসগ্রাম ১ নং ও ২ নং ব্লকের সভাপতি ও কার্যকরী সভাপতি, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্ব সহ সমস্ত শাখা সংগঠনের কর্মীরা প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কার্যত গত কয়েক দিন ধরে এলাকা কামড়ে পড়ে আছেন স্থানীয় সাংসদ অসিত মাল। মূলত তার নেতৃত্বে প্রচারের শেষ রবিবার এক বিশাল প্রচার মিছিলের সাক্ষী থাকল গুসকরার বাসিন্দারা।
শহরের সাতটি ওয়ার্ডের প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি মিছিলের নেতৃত্ব দেন। মিছিলে পা মেলান প্রার্থী কুশল মুখার্জ্জী, সুব্রত শ্যাম, সুন্দর গোপাল মাজি, যমুনা শিকারী, অমিতাভ মজুমদার, পাপিয়া মাজি ও টিপু মালিক এবং শহর যুব সভাপতি উৎপল লাহা, আউসগ্রাম ২ র্ন ব্লকের কার্যকরী সভাপতি অরূপ মিদ্দা, মলি দাস, ভগবতী ঘোষ, দেবব্রত শ্যাম, আই.টি সেলের রবিনাথ আঁকুরে সহ অসংখ্য তৃণমূল কর্মী। মিছিল শহরের সাতটি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে শহরের দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। পথের দু’ধারে উপস্থিত মানুষরা মিছিলকে স্বাগত জানায়। শুধু শেষ রবিবার নয় সাংসদ এর আগেও শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে একাধিক স্ট্রীট কর্ণার ও মিছিল করেছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই পেয়েছেন অভূতপূর্ব সাড়া ।
পরে সাংসদ অসিত মাল বলেন – মমতা ব্যানার্জ্জীর উন্নয়নের ছোঁয়া দলমত নির্বিশেষে রাজ্যের সমস্ত স্তরের মানুষ পেয়েছে। গুসকরাও তার ব্যতিক্রম নয়। কিছু ত্রুটি থাকার জন্য আমরা এখানে লোকসভা ভোটে পেছিয়ে ছিলাম। ধীরে ধীরে সেই ত্রুটির অধিকাংশ দূর করে আমরা বিধানসভা ভোটে যথেষ্ট উন্নতি করেছি। এবার আশাকরি আমরা আরও ভাল ফল করব। বাকিটা জনগণের ইচ্ছা। তিনি আরও বলেন শহরের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিকাঠামোগত উন্নতির জন্য আমরা ইতিমধ্যেই কাজ এগিয়ে রেখেছি। পুরভোটের পর আশাকরি সেই সুফল আমরা পাব। জল জমা সমস্যা নিয়েও আমরা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। যেভাবে এলাকার বাসিন্দারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসছে তাতে আমরা আশাবাদী।
অন্যদিকে কুশল বাবু বলেন,’উন্নয়নকে সামনে রেখে আমরা প্রচার করছি। কিছু কিছু ঘাটতি থাকলেও শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডের মানুষ উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়েছে। নতুন বোর্ড গড়ার ব্যাপারে আমাদের কোনো সংশয় না থাকলেও আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগতে রাজি নই। তাই সমস্ত স্তরের নেতা-কর্মীরা প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে । আগামী ক’টা দিনও আমরা একইভাবে প্রচার করে যাব ।’।