এইদিন ওয়েবডেস্ক,দক্ষিণ দিনাজপুর,২৯ আগস্ট : কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তরুণীর চিকিৎসকের ধর্ষণ বা গণধর্ষণের ঘটনার পর নৃশংস ও বর্বরোচিতভাবে হত্যাকাণ্ডের জের এখনো চলছে । এই ঘটনায় পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠছে । এদিকে আরজি কর হাসপাতালের ডেপুটি সুপারের নাম করে নিহত চিকিৎসকের বাবা-মাকে ফোনের অডিও রেকর্ডিং আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে । মহিলা কন্ঠের ওই ডেপুটি সুপারকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলতে শোনা যায় । যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে রাজ্যজুড়ে । আরজি কর কান্ডের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে দশ দিনের মধ্যে ধর্ষকের ফাঁসি দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য বিধানসভায় তিনি একটি বিল নিয়ে আসবেন । কিন্তু এত কিছুর মাঝেও রাজ্যের মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা কিছুতেই থামছে না । ফের এমনই এক তোলপাড় ফেলে দেওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানা এলাকায় । বুধবার, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার দিন রাতে পঞ্চম শ্রেণীর এক আদিবাসী ছাত্রীকে(১১) ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার এক তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে । বর্তমানে নির্যাতিতা কিশোরী গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।
জানা গেছে, বুধবার রাতে নিজের ঘরে পড়াশোনা শেষে ঘুমিয়ে পড়েছিল ওই কিশোর । রাত্রি প্রায় একটা নাগাদ অভিযুক্ত যুবক ঘরে ঢুকে তাকে যৌন নির্যাতন চালায় । মেয়েটি চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধ করে প্রাণে মারার চেষ্টা করে অভিযুক্ত । এদিকে মেয়ের চিৎকার শুনে কিশোরীর মা ছুটে আসেন । সেই সময় অভিযুক্ত যুবক তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে পালিয়ে যায় । পরে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের প্রতিক্রিয়া,’দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এক ভয়াবহ ঘটনা, পঞ্চম শ্রেণির এক আদিবাসী কন্যাকে নির্মমভাবে ধর্ষণ করেছে এক তৃণমূল কর্মী, যার বাবা নিজেও একজন তৃণমূল নেতা। এই অপরাধী শুধু তাকে ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং তাকে ফাঁসি দিয়ে মারারও চেষ্টা করেছিল। আমাদের শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বদলে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আপনি নির্যাতিতদের কণ্ঠস্বরকে রোধ করার চেষ্টা করছেন। আর কতদিন আপনি চোখ বন্ধ করে রাখবেন? রাস্তাগুলি প্রতিবাদে ভরে গেছে, এবং ন্যায়বিচারের জন্য চিৎকার ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। এসব কবে থামবে? আর কতগুলি জীবন ধ্বংস হবে? মুখ্যমন্ত্রী আপনি পদত্যাগ করুন।’।