এইদিন ওয়েবডেস্ক,নদিয়া,২৬ মার্চ : ফের এরাজ্যে ঘটল ধর্ষণের ঘটনা । এবারের দোলের দিন বাড়িতে একা থাকার সুযোগে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে জোর করে গোয়াল ঘরে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যায় নদীয়া জেলার শান্তিপুর থানায় এলাকার একটি গ্রামে । রাতেই নির্যাতিতার মা এ নিয়ে প্রতিবেশে যুবক রিন্টু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে থানায় একটি এফআইআর রজু করেছেন । জানা গেছে রিন্টু স্থানীয় তৃণমূল নেতা অর্জুন বিশ্বাসের ছেলে ।
এদিকে এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাজ্যের আইনি শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি ধর্ষক যুবক ও নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ পত্রের ছবি সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে লিখেছেন,’নদিয়ার শান্তিপুরে টিএমসি নেতার ছেলের দ্বারা একটি নাবালিকা মেয়েকে আরেকটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে । নদিয়া জেলার হাঁসখালিতে কী ঘটেছিল সে সম্পর্কে ফের স্মৃতি তাজা করে দিয়েছে ,২০২২ সালের এপ্রিল মাসে অপরাধীর বাড়িতে জন্মদিনের পার্টি চলাকালীন নবম শ্রেণির ছাত্রকে ধর্ষণ করেছিল স্থানীয় টিএমসি নেতার ছেলে।এখন টিএমসি নেতার ছেলে একটি নাবালিকা মেয়েকে তার বাড়িতে একা পেয়ে তাকে গোয়ালঘরে টেনে নিয়ে যায় এবং তাকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে।’
তিনি আরও লিখেছেন,’সে সন্দেশখালী হোক, শান্তিপুর হোক, হাঁসখালী হোক বা কালিয়াগঞ্জ হোক; টিএমসি নেতারা এবং তাদের আত্মীয়দের দ্বারা সংঘটিত যৌন অপরাধ প্রমাণ করে যে রাজ্যের বিদ্যমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মমতা পুলিশ কর্তৃক টিএমসি নেতাদের কাছে প্রসারিত মুক্ত হাত দ্বারা অপরাধীরা উৎসাহিত হয়েছে। এই যৌন শিকারীদের আইনের কোন ভয় নেই বা কল্পনাও করতে পারে না যে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে, তাই তারা এই ধরনের যৌন অপরাধের পুনরাবৃত্তি করে চলেছে ।’
জানা গেছে,শান্তিপুরের ওই কিশোরী দশম শ্রেণীর ছাত্রী । তার বাবা মারা গেছেন । বাড়িতে থাকেন মা ও মেয়ে । নির্যাতিতার মা পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বাড়িতে ছিলেন না । সেই সুযোগে ৭ঃ৩৫ নাগাদ প্রতিবেশী অর্জুন বিশ্বাসের ছেলে রিন্টু বিশ্বাস বাড়িতে ঢুকে পড়ে এবং তার ১৫ বছরের মেয়েকে জোর করে টেনে পাশের গোয়াল ঘরে নিয়ে যায় । তারপর সে তার মেয়েকে নগ্ন করে ধর্ষণ করে । তিনি বাড়ি ফিরে আসলে তার মেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে এবং ঘটনার কথা খুলে বলে ।
জানা গেছে, কিশোরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় বাদকুল্লা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখান থেকে নির্যাতিতাকে কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । এদিকে কুকর্ম ঘটনার পর থেকেই চম্পট দেয় ধর্ষক যুবক । অবশ্য পরে তাকে শান্তিপুর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে । তবে তার পরিবারের বাকি লোকজনরা বেপাত্তা হয়ে গেছে বলে জানা গেছে ।।