এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,১৫ সেপ্টেম্বর : তৃণমূল নেতা খুনের সাক্ষী মেটাতে গুলি করে প্রাণে মারার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে মালদায় । ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে মালদার ইংরেজবাজার থানার অমৃতি গ্রাম পঞ্চায়েতের কানাইপুর এলাকায় । গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর নাম আতিকুল মোমিন (৩৩) বর্তমানে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । যদিও তৃণমূলের দাবি যে পারিবারিক বিবাদের কারনেই এই ঘটনা ঘটেছে । বিজেপির উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মুর দাবী, রাজ্য জুরেই ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে তৃণমূলে এই ধরনের হানাহানি চলছে। মালদাতেও একই ঘটনা ঘটেছে।
প্রসঙ্গত,গত ১০ জুলাই ইংরেজবাজারের লক্ষ্মীপুর এলাকায় খুন হন তৃণমূল নেতা আবুল কালাম আজাদ। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই খুনের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ । সেই, ঘটনায় সাহিদ সেখ, তার বাবা তথা তৃণমূলের কাজি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মাইনুল সেখ সহ বেশ কয়েকজনের নাম অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই খুনের ঘটনার রাতেই মাইনুল সেখকে গ্রেপ্তার করে। তিনি বর্তমানে জেল হেপাজতে রয়েছেন। তবে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত মাইনুল সেখের ছেলে সাহিদ সেখ এখনও পলাতক রয়েছে। তার বিরুদ্ধেই রবিবার সন্ধ্যার দিকে খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মূল সাক্ষী আতিকুল মোমিনকে গুলি করার অভিযোগ ওঠে। আবুল কালামকে কুপিয়ে মারার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিল তৃণমূল নেতা আতিকুল মোমিন।
গুলিবিদ্ধ আতিকুল মোমিনের পরিবারের অভিযোগ, রবিবার রাতে আতিকুল যখন বানিয়া গ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তখন মাইনুলের ছেলে শহিদ শেখ সহ দু’জন তার পথ আটকায় এবং তাকে মেরে ফেলায় উদ্দেশ্যে গুলি চালায় । আবুল কালাম আজাদের খুনের সাক্ষী মেটাতেই তারা তাকে খুনের চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ ।
জানা গেছে,রবিবার সন্ধ্যার দিকে ইংরেজবাজারের অমৃতির কানাইপুর এলাকায় মাইনুল সেখের ছেলে সাহিদ সেখ সহ বাইকে দুজন এসে তাকে গুলি করে। পাঁজরে গুলিবিদ্ধ হয়ে আতিকুল মোমিন রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়লে সে মারা গেছে মনে করে হামলাকারীরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায় । এদিকে গুলির শব্দ শুনে লোকজন সেখানে ছুটে এসে আতিকুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে । এরপর তাকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।।