এইদিন,ওয়েবডেক্স,২৫ ফেব্রুয়ারী : তৃণমূল নেতাদের সীমাহীন অত্যাচারে ফুঁসছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালি । দীর্ঘ কয়েক দিন ধরেই সমানে চলছে ক্ষোভ বিক্ষোভ । এদিকে আজ রবিবার সকালে রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুজিত বসু এবং পার্থ ভৌমিক স্থানীয় বেড়মজুর গ্রামে হরিনাম সংকীর্তন এর আসরে যোগ দিয়ে সন্দেশখালীর বিষয়টিকের লঘু করে দেখানোর চেষ্টা চালাতে গিয়েছিলেন । কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি । তাদের উপস্থিতির মাঝেই বেড়মজুর অঞ্চলে তৃণমূলের সম্পাদক অজিত মাইতিতে পরতে হলো জনতার ক্ষোভের মুখে । বেড়মজুর গ্রামের মহিলারা অজিত মাইতিকে দেখতে পেয়ে তার কিছু ধাওয়া করে । ওই তৃণমূল নেতা প্রাণ বাঁচাতে ছুটে ঢুকে পড়েন একটি নির্মাণাধীন বাড়ির ভিতরে । দিগ্বিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে তিনি ওই বাড়ির ভেতরে তালা লাগিয়ে দেন ।এদিকে তখন ওই বাড়ির এক পুরুষ সদস্য বাইরে টিউবওয়েলে স্নান করতে এসেছিলেন । তিনি স্নানের পর বাড়ি ঢুকতে গিয়ে দেখেন তালা বন্ধ । অজিত মাইতিকে তিনি তালা খোলার জন্য বারবার অনুরোধ করেন । কিন্তু গণধোলাই এর ভয়ে তালা খোলেননি অজিত মাইতি ।
এদিকে মহিলারা ওই বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় ৷ অজিতের বিরুদ্ধে আদিবাসীদের পাট্টার জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে । সাংবাদিকরা তাকে বাড়ির ভেতর থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বারবার আবেদন করেন । কিন্তু অজিত মাইতি সাফ জানিয়ে দেন, ‘গ্রামবাসীরা যদি আমাকে পিটিয়ে মারে তাহলে আপনারা কি দায়িত্ব নেবেন ?’ তিনি আরো জানান যে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করুক ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ বাহিনী । গ্রামের মহিলারা পুলিশকে ঘিরেও তুমুল বিক্ষোভ দেখায় । শেষে মহিলা পুলিশের দল সন্দেশখালীর ক্ষিপ্ত মহিলাদের ওই বাড়ির সামনে থেকে ঠেলে সরিয়ে দেয় । রবিবারের এই ঘটনাটাকে ঘিরে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালীর বেড়মজুর গ্রাম ।
যদিও এখনো সন্দেশখালি ‘ত্রাস’ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের এখনো কোন হদিস নাই । অভিযোগ যে শাহজাহান বেপাত্তা হয়ে যাওয়ার ৫২ দিন পরেও তাকে গ্রেফতারের বিষয়ে কোন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না পুলিশের মধ্যে । তারই মাঝে গ্রামবাসীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানাতে গিয়ে পুলিশকে পড়তে হচ্ছে তীব্র বিক্ষোভের মুখে। পুলিশের গ্রেপ্তারির ভয়ে কার্যত পুরুষ শূন্য গ্রামগুলির মহিলারাই মূলত তৃণমূল কংগ্রেস ও পুলিশের মোকাবেলা করতে সামনে এগিয়ে আসছেন ।।