এইদিন ওয়েবডেস্ক,দক্ষিণ ২৪ পরগনা,১৫ জানুয়ারী : উত্তর ২৪ পরগণা জেলার সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা শেখ শাহাজাহানের ‘রোহিঙ্গা বাহিনী’র দ্বারা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার জের এখনো মেটেনি । এরই মাঝে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক তথা ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাকে নিয়ে শুরু হয়ে গেছে নতুন বিতর্ক । রবিবার ভাঙড়ের বোদরা অঞ্চলের দলীয় সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি নাম না করে আইএসএফ কর্মীদের ‘জিনা হারাম’ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন । শুধু আইএসএফ কর্মীই নয়,তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন প্রশাসনকেও ।
আসলে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে ভাঙড়ের বিভিন্ন প্রান্তের আইএসএফ কর্মীরা দলীয় পতাকা লাগাতে লাগাচ্ছিল । কিন্তু খড়গাছিতে তৃণমূলের লোকজন তাদের পতাকা লাগাতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ । এনিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে । তারই প্রেক্ষিতে বোদরায় প্রতিবাদ সভা করে তৃণমূল । সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শওকত মোল্লা বলেন, ‘রাজনৈতিক লড়াই করতে গিয়ে যদি দু-এক জন খুনও হয় তবুও শত্রুর সঙ্গে এক ইঞ্চিও কম্প্রোমাইজ করব না । প্রশাসন যদি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেয়, তা হলে তাঁদের শাস্তি ভাঙড়ের জনগন দেবে ।’ এরপরেই তিনি আইএসএফকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘তাদের(আইএসএফ) বোদরা এলাকায় ‘জিনা হারাম’ করে দেব,দায়িত্ব নিয়ে আমি বলে যাচ্ছি ।’
প্রসঙ্গত,রাজ্যে রাজনৈতিক ভাবে অশান্ত এলাকাগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড় । কোনো ভোট এলেই মুসলিম অধ্যুষিত এই এলাকায় শুরু হয় তুমুল উত্তেজনা । বিগত বিধানসভা নির্বাচনেও তৃণমূল কংগ্রেস ও আইএসএফ-এর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ,দেদার বোমাবাজির ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছিল । মুসলিম অধ্যুষিত হওয়ায় এখানে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই মূলত নওসাদ সিদ্দিকের দল আইএসএফের।।