এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,০৬ ফেব্রুয়ারী : বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজন করিয়ে চরম বিপাকে পড়ে গেছেন বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর পুরসভা এলাকার তৃণমূল নেতা দেবব্রত ঘোষ । বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁর বাড়িতে আতিথেয়তা গ্রহন করেছিলেন তৎকালীন বিজেপি সভাপতি দিলীপবাবু । কাটিয়ে ছিলেন দীর্ঘ সময় । ছিল দুপুরের খাওয়া দাওয়ার আয়োজন । তবে তখন বিষয়টি নিয়ে ততটা জলঘোলা না হলেও দেবব্রতবাবুকে দল পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী করার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে তৃণমূল কর্মীরা । তাঁর প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের দাবিতে চলছে বিক্ষোভ । রবিবার বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী ও সমর্থক পথ অবরোধ পর্যন্ত করেন । প্রার্থী প্রত্যাহার না করা হলে ভোট বয়কটেরও হুমকি দেওয়া হয় ।
শুক্রবার রাজ্যের বেশ কিছু পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব । সেই তালিকায় ছিল দেবব্রত ঘোষের নাম । তাঁকে বিষ্ণুপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছে দল । আর তার পর থেকেই ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে ওয়ার্ড জুড়ে । এদিন দুপুরে বিষ্ণুপুর পুরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের মুটুকগঞ্জ এলাকায় সড়ক পথ অবরোধ করে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তৃণমূলের একাংশের লোকজন ।
বিক্ষোভকারী তৃনমূল কর্মী ভোলানাথ দত্ত বলেন, ‘আমাদের উপর যে প্রার্থী চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে আমরা তাঁকে মানছি না । কারন উনি সারা জীবন ধরে তৃণমূলের বিরোধিতা করে এসেছেন । এমনকি বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিলীপ ঘোষকে বাড়িতে এনে ভাত খাইয়েছে,চা খাইয়েছে । যিনি বিজেপির হয়ে দু’দিন আগে দালালি করেছেন তাঁর সমর্থনে কি করে আমরা ভোটের প্রচারে যাবো ? বিধানসভাতেও উনি বিজেপির হয়ে ভোট করেছেন । আমরা ওই প্রার্থীকে কিছুতেই মেনে নেবো না ।’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে কোনও নিষ্ঠাবান তৃণমূল কর্মীকে আমাদের ওয়ার্ডের প্রার্থী করা হোক । নচেই আমরা ভোট বয়কট করতে বাধ্য হব ।’
অন্যদিকে বিষ্ণুপুর পুরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের তৃণমূলের ঘোষিত প্রার্থী দেবব্রত ঘোষ বলেন,’আমার ছেলে বিজেপির আইটি সেলের কর্মী । সেই সুবাদে দিলীপবাবু আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন । তবে তখন আমি বাড়িতে ছিলাম না ।’ তবে দেবব্রতবাবু যাই দাবি করুন না কেন বিক্ষোভকারীদের অনড় মনোভাব প্রমান করছে যে,এই বিতর্কে ফের বেকায়দায় পড়তে চলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব । এখন তৃণমূলের একাংশের দাবি মেনে দেবব্রত ঘোষের প্রার্থীপদ বাতিল করা হয়,নাকি তাঁকে রেখে দেওয়া হয় সেটাই দেখার ।।