এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৫ নভেম্বর : মঙ্গলবার থেকে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন(এসআইআর) শুরু হয়ে গেছে । আর তারপর থেকেই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে ব্যাপক আতঙ্ক । আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা রেলস্টেশনের ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হচ্ছে৷ ভিডিওতে তল্লিতল্পা বেঁধে কাতারে কাতারে লোকজনদের কোথাও হন্তদন্ত হয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে । দাবি করা হচ্ছে যে ভিডিওটি শিয়ালদহ রেল স্টেশনের । কেউ কেউ প্রতিক্রিয়ায় লিখছেন,”আজ প্রমাণ করে দিলো পশ্চিমবাংলায় SIR কতখানি প্রয়োজন ছিলো।” আজ বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের পিলা পঞ্চায়েত এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম ললিতপুরে একটা বিল থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় বাণ্ডিল বাণ্ডিল আধার কার্ড উদ্ধার হয়েছে । এই ঘটনাকে এসআইআর-এর “আতঙ্ক” হিসেবে দেখা হচ্ছে ।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অন্য একটা ভিডিও এক্স-এ পোস্ট করেছেন৷ ভিডিওটি যিনি রেকর্ড করেছেন তাকে বলতে শোনা গেছে, “রাত্রি ১১ টা ৩৬ । হরিনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ।” শুভেন্দু অভিযোগ করেছেন যে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার তালিকায় নাম তোলাতে রাতে পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে বিএলওদের দিয়ে এসআইআর এর কাজ করাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস । তিনি লিখেছেন, ‘হরিনারায়ণপুর হল দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুর মহকুমার জয়নগর-১ ব্লকের অন্তর্গত একটি এলাকা । ভিডিওতে প্রচুর মুসলিম মহিলা ও পুরুষকে উত্তেজিতভাবে ঘোরাঘুরি করতে এবং বেশ কিছু মহিলাকে লাইনে দাঁড়িতে থাকতে দেখা গেছে ।
শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল যে অবৈধ বাংলাদেশী রোহিঙ্গাদের ভোটে এ রাজ্যে ক্ষমতায় সে কথা এখন জলের মতো পরিষ্কার। নির্বাচন কমিশন SIR নামক কার্বোলিক অ্যাসিড প্রয়োগ করতেই গর্ত থেকে পিলপিল করে এখন সব অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর দল বেরিয়ে আসছে। এদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন মহা চিন্তায়। তাই যে কোনো উপায়ে ছলে বলে কৌশলে ভোটার লিস্টে এদের নাম ঢোকাতেই হবে, না’হলে সমূহ বিপদ। এবং এদের নাম যাতে ভোটার তালিকা থেকে বাদ না পড়ে তাই তৃণমূলের ছোটো থেকে বড়ো নেতা কর্মীরা হয় বিএলও দের হুমকি দিচ্ছেন বা তাদের দিয়ে জোর করে অনৈতিক কাজ করাতে তৎপর।
জয়নগর বিধানসভার হরিনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৯, ৩০, ৩১ ও ৩৯ নং বুথে এক গাদা সন্দেহপ্রবণ মুসলিম ভোটারদেরকে নিয়ে এসে রাত ১২ টার সময় পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে বিএলও দের দিয়ে এসআইআর এর কাজ করানো হচ্ছে। জয়নগর বিধানসভার বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস আর তার শ্যালক তুহিন বিশ্বাস নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এই কাজ করাচ্ছেন বিএলও দের দিয়ে। জয়নগরের বিধায়ক ও তার শ্যালক কে এই কাজে সাহায্য করছে ঐ এলাকার দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতি মুন্না এবং আরিফ।
হরিনারায়ণপুর এলাকার গাজী পাড়া, আর মসজিদের চক এই দুটি জায়গায় গড়েরহাটের খালের পাশে যারা প্লাস্টিক ঘেরা ঝুপড়ি বেঁধে থাকে তারা সবাই বাংলাদেশী অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। জয়নগর বিধানসভায় এদের মতো অবৈধ ভোটারের ভোটেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল সেখান থেকে জেতে। তাই SIR শুরু হতেই এই ধরনের অবৈধ কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু ‘সে গুড়ে বালি’। আমি নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানাবো।’।

