এইদিন ওয়েবডেস্ক,মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রাম ২৫ জানুয়ারী ঃ “একসময় সিপিএম বিরোধীদের ওপর নির্মমভাবে সন্ত্রাস চালিয়ে এসেছে । তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সিপিএমের কায়দায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে।অথচ এরাজ্যের বেকারদের চাকরি নেই । তাই বেকাররা এরাজ্য থেকে ভিনরাজ্যে কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন । আর এখন তৃণমূলের নেতারা শুধু বড়লোক হচ্ছেন । তাই এর অবসান চাই।” সোমবার সন্ধ্যায় পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের নিগনে দলীয় জনসভায় এসে সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেসকে এই ভাষাতেই নিশানা করলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালের ২৫ জানুয়ারি নিগন গ্রামে বিজেপি সমর্থক প্রায় তিনশোটি পরিবারের ঘরবাড়ি আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সিপিএমের বিরুদ্ধে। তাই প্রতিবছর বিজেপির পক্ষ থেকে এই দিনটিতে কালাদিবস হিসাবে পালন করা হয় । সোমবার এই উপলক্ষে নিগন গ্রামের হাটতলায় বিজেপির পক্ষ থেকে জনসভার আয়োজন করা হয় । এই কর্মসূচিতে মূল বক্তা ছিলেন সৌমিত্র খাঁ। তিনি ছাড়াও বিজেপির জেলা নেতৃত্ব ও রাজ্য নেতৃত্বের কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। এদিন দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘এলাকার প্রতিটি বুথে বিজেপিকে জেতানোর সংকল্প করুন আপনারা ।’
পাশাপাশি এদিন কেতুগ্রামের শান্তিনগর গ্রামে বিজেপির সাংগঠনিক কাটোয়া জেলার পক্ষ কৃষক সুরক্ষা অভিযান চালানো হয়৷। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যে কৃষান মোর্চার সভাপতি মহাদেব সরকার, বিজেপির সাংগঠনিক কাটোয়া জেলার সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ,সহ সভাপতি অনিল দত্ত, কৃষান মোর্চার জেলা সভাপতি আনন্দ রায় প্রমুখ ।
এদিন কৃষাণ মোর্চার রাজ্য সভাপতিসহ জেলার নেতারা কেতুগ্রামের সতীপীঠ অট্টহাস মন্দিরে পুজো দেওয়ার পরে শান্তিনগর গ্রামে কৃষকদের বাড়ি ঘুরে ঘুরে মুষ্টিভিক্ষা সংগ্রহ করেন । তারপর শান্তিনগর গ্রামে কৃষকদের নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করা হয় । তাতে শতাধিক কৃষক অংশগ্রহন করেন।
মহাদেব সরকার বলেন, ‘সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের জমানা থেকেই এরাজ্যের কৃষকরা বঞ্চিত হয়ে আসছে । বামফ্রন্ট সরকারের দীর্ঘ রাজত্বকালেও বাংলার কৃষকদের দুঃখ মোচনের জন্য কোনও কাজ করা হয়নি । তারপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাষীদের উন্নতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এলেও উনি চাষীদের জন্য কিছুই করেননি । অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদিজী সাড়ে ছ’বছরে কৃষকদের কল্যানের জন্য একটার পর একটা প্রকল্প এনেছেন ।’।