এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৯ জুন : সাউথ ক্যালকাটা ল’কলেজে ছাত্রীকে গনধর্ষণের ঘটনায় কামারহাটির দলীয় বিধায়ক মদন মিত্রকে শো-কজ করল তৃণমূল কংগ্রেস৷ শনিবার মদন বলেছিলেন,’ওই ছাত্রী যখন যাচ্ছিলেন সেই সময় যদি সঙ্গে করে আরও দুই বন্ধুকে নিয়ে যেতেন বা কাউকে জানাতেন এটা ঘটত না। যাঁরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাঁরা তো সুযোগেরই ব্যবহার করেছেন।’ তার এই অসংবেদনশীল মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা হয় । আজ রবিবার নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীকে তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি তাকে “বন্ডেড মাতাল” বলে অবিহিত করে কোনো প্রকার প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করেন ।
এই মদন বাণীর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই তাকে শো-কজের নোটিশ ধরিয়ে দিল দল । তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়েছে,’কলকাতার কসবায় আইন পড়ুয়া এক ছাত্রীর প্রতি অত্যন্ত ঘৃণ্য এবং নিদারুণ দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গেছে । অত্যন্ত সংবেদনশীল এই দুঃখজনক পাশবিক অত্যাচারের ঘটনায় পার্টির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব বিশেষভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং কঠোরভাবে এই ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে। প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। দুষ্কৃতিকারীদের দ্রুততার সঙ্গে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ব্যাপারে ২৮শে জুন ২০২৫ তারিখে আপনার অযাচিত, অপ্রয়োজনীয় এবং অসংবেদনশীল মন্তব্য আমাদের দলের ভাবমূর্তিকে যারপরনাই আঘাত করেছে। একইসঙ্গে আপনার মন্তব্য দলের কঠোর অবস্থানের বিরুদ্ধাচরণ করেছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের এই আচরণের জন্য আপনাকে আগামী তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’
এদিকে মদনের দাবি, দোষীদের আড়াল করতে আমি কোনও কথা বলিনি। আমার বক্তব্যের ভুল বয়ান করা হচ্ছে। সেটা যাঁরা করছে তাঁরা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায়। ফেসবুকে মদন লিখছেন, ‘আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আমি এমন কোনও কাজ করিনি যা বহুলাংশে মানুষের অপছন্দের কারণ হয়েছে।’ এরপরই তিনি লিখছেন, ‘আমি দলের বক্তব্য পড়েছি। দলের উচ্চ নেতৃত্বের কাছে আমার ভুল না বোঝার অনুরোধ জানাচ্ছি।’ প্রয়োজনে তাঁর বক্তব্যের ‘সঠিক’ ব্যাখ্য়ার স্বার্থে তিনি যে কোনওরকম তদন্তের মুখোমুখি হতেও যে প্রস্তুত তা তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছেন। তারপরই তিনি লিখছেন, আমি আশা করব, ‘দল আগামী কোনও পদক্ষেপের আগে দ্বিতীয়বার ভাববে।’।