অভিষেক চৌধুরী ,পুর্বস্থলী,২২ ডিসেম্বর : “আমি বিশ্বাসঘাতক নই, মীরজাফর নই। যার আত্মসম্মান আছে তিনি ওই দলটা করতে পারবেন না। তৃণমূল একটা কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।” মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর ছাতনিতে জনসভায় এই ভাষাতেই পুরনো দলকে আক্রমন করলে শুভেন্দু অধিকারী । এদিনের জনসভায় মূল আকর্ষণের কেন্দ্র ছিলেন শুভেন্দু । কারন দলত্যাগের পর এটিই ছিল তার প্রথম জনসভা। তিনি কি বলেন, সেই অপেক্ষায় ছিলেন সভায় উপস্থিত দর্শক ও শ্রোতারা । বস্তুত বর্ধমানে প্রথম জনসভাতেই তৃণমূল কংগ্রেসকে কার্যত তুলোধোনা করেন তিনি ।
এদিন শুভেন্দু বলেন, “বিজেপির আশ্রয় না পেলে উঠে যেত এই তৃণমূল কংগ্রেস।” তারপর তৃণমূল সুপ্রীমোকে নিশানা করে তিনি বলেন, “নিজের দমে মুখ্যমন্ত্রী হলে ২০০১ সালেই হতেন। আমি বলব না আমার কথা, কিন্তু নন্দীগ্রামের এতগুলো মানুষ অনেক কিছু দেখেছে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে বিধানসভা ভোট, পঞ্চায়েত নির্বাচন ও তারপর লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কারা ছিল?’
পাশাপাশি “তোলাবাজ ভাইপো’ সম্বোধন করে তীব্র কটাক্ষ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। পরু পাচার, কয়লা পাচার ইস্যুতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নেন তিনি। ফের ‘তোলাবাজ ভাইপো হটাও’ স্লোগান তুলে শুভেন্দু বলেন, “একুশে তৃণমূল ক্ষমতায় এলে এবার শুধু কিডনি পাচার বাকি।” এরপর শুভেন্দু বলেন, “আমার সঙ্গে একাধিকবার অমিতজি, দিলীপ দার মতো নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি কোনও শর্ত রাখিনি। শুধু বলেছি, তোলাবাজ ভাইপোর হাত থেকে বাংলাকে বাঁচান।”
এদিন দুপুরে পূর্ব বর্ধমানের উত্তর পূর্বস্থলী বিধানসভা কেন্দ্রে ছাতনিতে একটা সভার আয়োজন করে বিজেপি । সভাতে শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ রাজ্য ও জেলার অন্যান্য নেতারা ।
বর্ধমান পূর্ব জেলা বিজেপির সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ বলেন,‘কেতুগ্রাম ও পূর্বস্থলী এই দুটি জনসভায় হাজার হাজার মানুষের থিকথিকে ভিড়ে ভরে যায় মাঠপ্রাঙ্গন।শুধু তাই নয় এই দু জায়গায় কংগ্রেস,তৃণমূল ও সিপিএম থেকে আসা প্রায় চার হাজার কর্মী সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন।আগামী জনসভাগুলোতেও আরো কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক যোগ দেবেন।’