এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৫ আগস্ট : আজ মঙ্গলবার কোচবিহারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় খাগড়াবাড়িতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপর প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে । কালো পতাকা ও তৃণমূলের পতাকা হাতে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত দুষ্কৃতীরা শুভেন্দু অধিকারীর গাড়িতে হামলা চালায় । সন্ধ্যায় বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে বিমানে কলকাতায় ফিরে আসার পর একটা চাঞ্চল্যকর খোলসা করেছেন তিনি । এক্স-এ একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি অভিযোগ করেন,হামলা চালাতে খাগড়াবাড়ি মসজিদের সামনে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী মুসলমানদের জড়ো করেছিলো তৃণমুল ।
শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’আজ আমার উপরে কোচবিহারের খাগড়াবাড়ির ঠিক কোন জায়গায় হামলা চালালো তৃণমূলী সন্ত্রাসবাদীরা?একটু ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে যে জমায়েতের পরিকল্পনাটা ঠিক কোন স্থানে করা হয়েছিলো ! যে ভবনটি ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে সেটি হলো খাগড়াবাড়ি মসজিদ। ঠিক এই মসজিদের সামনেই রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী মুসলমানদের জড়ো করেছিলো তৃণমুল, আমার ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালানোর জন্য।
তৃণমুলের শক্তিই হলো এই বহিরাগত বিদেশী অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী মুসলিমদের দল। এরাই এদের ভোট ব্যাংক, এদের মিটিং মিছিলের ভিড়, ও ভোট লুঠ করার কারিগর। তাই এদের বাঁচাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিবা রাত্রি কুম্ভীরাশ্রু ফেলছেন।’
তিনি আরও লিখেছেন,’আমরা যখন ক্ষুদ্র রাজনৈতিক লাভ লোকসানের দিকে না তাকিয়ে, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার স্বার্থে এই সব বেআইনি বিদেশী অনুপ্রবেশকারীদের দেশ থেকে বিতাড়িত করতে চাই, তখন আমাদের স্বরকে দাবিয়ে দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সব অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী মুসলিমদের লেলিয়ে দিলেন আমাদের আক্রমণ করতে, তাও মসজিদের মতো স্থান কে অপব্যবহার করে।’
এর আগে কোচবিহারে হামলার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, অভিষেক ব্যানার্জির নির্দেশ রোহিঙ্গাদের দিয়ে তার উপর হামলা চালিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছিল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ ও কোচবিহারের পুলিশ সুপার ধৃতিমান ভট্টাচার্য । ওই দু’জন ছাড়াও তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করবেন বলে তিনি জানান ।।