এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,০৮ মার্চ : বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পদ নিয়ে প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল । মঙ্গলবার সকালে পুর এলাকার অলিতে গলিতে দেখা গেল ‘বহিরাগত চেয়ারম্যান চাই না’ পোস্টার । যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়, বরঞ্চ তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের উদ্দেশ্যেই বিরোধী দল এই পোস্টার সাঁটিয়েছে ।
বিগত পুরসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পুরসভার ১৯ টি আসনের মধ্যে ১৩ টিতে জয় পেয়েছে তৃনমূল কংগ্রেস । সূত্রের খবর,ফলাফল ঘোষণা হতেই চেয়ারম্যান পদ নিয়ে শাসকদলের অন্দরে শুরু হয়েছে দড়ি টানাটানি । চেয়ারম্যান পদের অনেক দাবিদার খাড়া হয়ে গেছে । তবে তাঁদের সবাইকে পিছনে ফেলে সর্বাগ্রে উঠে এসেছে বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রাক্তন প্রশাসক অর্চিতা বিদের নাম । উল্লেখ্য,অর্চিতা বিদ-এর বাড়ি আদপে বড়জোড়ায় । পুরসভা নির্বাচনের কয়েকমাস আগেই তিনি বিষ্ণুপুর পুরসভা এলাকায় ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন । আর এই কারনে তাঁকে ‘বহিরাগত’ তকমা দিয়ে চেয়ারম্যান পদের অনান্য দাবিদাররা আসরে নেমে পড়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের ।
এদিন বিষ্ণুপুর পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের অলিতে গলিতে দেখা যায় গোলাপি কাগজের উপর কালো হরফে ছাপা পোস্টার । তাতে লেখা রয়েছে, ‘বিষ্ণুপুরে বহিরাগত চেয়ারম্যান চাই না,চাই না,চাই না ।” যদিও এটা দলের গোষ্ঠী কোন্দল বলে মানতে রাজি হননি তৃনমূলের বিষ্ণুপুর টাউন সভাপতি সুনীল দাস । তাঁর কথায়,’মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এসব বিরোধী দলের কারসাজি ।’
অন্যদিকে বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি নীরজ কুমার বলেন, ‘বিষ্ণুপুর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের টিকিটে যিনি জিতেছেন সেই অর্চিতা বিদকেই আসলে বহিরাগত বলা হচ্ছে । যারা বলছেন তাঁরাও তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী । বিষ্ণুপুরের বিধায়ক ওই গোষ্ঠীটির নেতা । বর্তমানে যার কোন দল নেই । তাঁর নেতৃত্বেই ওই সব কান্ড হচ্ছে ।’ পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন, ‘পুরসভার মধ্যে কি এমন মধু আছে যে, কাউকে বড়জোড়া থেকে আনা হচ্ছে, কাউকে আবার বিজেপি থেকে আনা হচ্ছে ? সবাই সেই লুটেপুটে খাওয়ার জন্যই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ।’।