এইদিন ওয়েবডেস্ক,দক্ষিণ ২৪ পরগণা,০৮ জুলাই : কসবা ল’কলেজে ছাত্রীকে গনধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন ছাত্রনেতাসহ ৩ জন । সেই কান্ডে শাসকদলের অস্বস্তির মাঝেই ফের এক ‘তৃণমূল দাদার কীর্তি’ ফাঁস হল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । এবারে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সোনারপুর কলেজের ৪৪-র ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে নবাগত ছাত্রীকে দিয়ে মাথা টেপানোর অভিযোগ উঠেছে । জানা গেছে, বারুইপুর কলেজের প্রাক্তনী তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি ওই গুনধর নেতার নাম প্রতীক কুমার দে।
জানা গেছে,প্রতীক দে তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্রের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তিনি রাজপুর টাউন যুব কংগ্রেসের সভাপতি । বিধায়ক লাভলি মৈত্রই তাকে সোনারপুর কলেজের টিএমসিপি-র কো অর্ডিনেটর হিসাবে নিয়োগ করেছেন বলে খবর । তারপর থেকে প্রতীক দে কলেজ ক্যাম্পাসে রীতিমতো দাদাগিরি শুরু করেন বলে অভিযোগ । ভাইরাল ভিডিওতে তাকে একটা চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে সিগারেট ফুঁকতে দেখা গেছে। আর প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে পিছনে দাঁড়িয়ে তার মাথা টিপতে দেখা গেছে । বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েই অভিযুক্ত দাবি করেছেন যে এডিট করা ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে । তবে তার এই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন খোদ সোনাপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার । টিভি ৯ বাংলার কাছে তিনি পালটা দাবি করেছেন যে ভিডিওটি আসল এবং এআই নয় ৷ আর আসল কি নকল জানতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই, ভিডিও দেখলেই বোঝা যাবে । ওই ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন বলে তিনি জানান ৷।

