প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৬ ফেব্রুয়ারী : দাবি মত ২৫ হাজার টাকা তোলা না দেওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে মারধোরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে।এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শহর বর্ধমানের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।আক্রান্ত ব্যবসায়ী আয়ুব খান বর্ধমান পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার নুরুল আলম ওরফে সাহেব সহ চার জনের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করে তাদের শাস্তির দাবি করেছেন । ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব ।
ব্যবসায়ী আয়ুব খান বর্ধমান শহরের সাধনপুরের আলুডাঙা মাঠপাড়ার বাসিন্দ। শহরের বাজেপ্রতাপপুর রেলওয়ে ফ্লাইওভারের সংলগ্ন মসজিদের কাছে তাঁর ভ্রাম্যমাণ মাংসের দোকানে রয়েছে।ব্যবসায়ীর অভিযোগ,গত সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ সেখানেই ভবানীপ্রসাদ গুপ্ত ওরফে বাঙ্কার, সেখ মানা এবং মহম্মদ ইকবাল ওরফে চন্দনরা তাঁর উপর হামলা চালায়৷ আয়ুবের দাবি এই হামলাকারীরা সকলেই বর্ধমান পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর নুরুল আলমের অনুগামী।
ব্যবসায়ীর আরও অভিযোগ,এরাই গত ২৮ ফেব্রুয়ারী তাঁর কাছে ২৫ হাজার টাকা চায় । কিন্তু তিনি তা দিতে না চাওয়ার তারা আক্রোশবশত সোমবার তাঁর দোকানে হামলা চালায়। তাঁকে মারধর করে। আয়ুব খান তাঁর অভিযোগে এও বলেন,,তিনি নুরুল আলমের বাড়িতে গিয়ে ১০ হাজার টাকা দিতে গিয়েছিলেন।কিন্তু নরুঢ় আলম
কম টাকা নিটে অস্বীকার করেন।তাঁকে নরুল স্পষ্ট জানিয়ে দেন,ক্লাবের পুজোর জন্য ২৫ হাজার টাকাই দিতে হবে। টাকা না দিলে তঁকে ওখানে যে ব্যবসা আর ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না সেই কথাও নুরুল আলম জানিয়ে দেয় । এমনকি তাঁকে প্রাণ নাশের হুমকিও দেওয়া হয় বলে ব্যবসায়ী আয়ুব খান অভিযোগে জানিয়েছেন ।
এই অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে কাউন্সিঢ়ার নুরুল আলমের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আয়ুব খান যেখানে মাংসের ব্যবসা করেন, সেখানে একটি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। তাই এলাকার মানুষজন তাঁকে প্রকাশ্যে মাংস কেটে ঝুলিয়ে না রেখে আড়াল রেখে ব্যবসা করার জন্য বলেছিলেন। যাতে শিশু মনে এর কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয়। এই নিয়ে দলের ছেলেরা তাকে বোঝাতে যায়। মারধরের কোন ঘটনা ঘটে নি। পাল্টা অভিযোগে নুরুল আলম বলেন, আয়ুব খান যে তাঁর বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার অভিযোগ করেছেন তাঁকে সেটা প্রমাণ করতে হবে, নাহলে এলাকার মানুষ তাকে অবরুদ্ধ করবে। যদি টাকা চাওয়ার অভিযোগ আয়ুব প্রমাণ করতে পারে তাহলে পদ ছেড়ে দেবেন বলে নুরুঢ় আলম থাবি করেছেন।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, কেউ অভিযোগ করতেই পারেন।সেটা পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।তবে অভিযোগ করলেই সে দোষী নয়।মিথ্যা অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র।।