এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৫ মার্চ : এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি) আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার মাস্টারমাইন্ড উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সন্দেশখালী ‘কুখ্যাত’ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান । বহু টালবাহানার পর অবশেষে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । আপাতত শাজাহান পুলিশের হেফাজতেই আছে । শাজাহানকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছিল সিবিআই । সেই আবেদনের ভিত্তিতে অবিলম্বে শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট । কিন্তু শাহজাহানের সিবিআই এর হেফাজত আটকাতে মরিয়া চেষ্টা করেছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস । কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ওপর স্থগিতাদেশ তাদের চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান তৃণমূল কংগ্রেসের আইনজীবী অভিষেক মনু সাংভি । কিন্তু তার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট । পরিবর্তে রাজ্যকে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে যেতে বললেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না । সুপ্রিম নির্দেশের পর এখন শাহজাহানকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই রাজ্য পুলিশের ।
রেশন দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে সন্দেশখালী তৃণমূল নেতা সেক্স শাহজাহানের। গত ৫ জানুয়ারী শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল ইডির ৫ সদস্যের তদন্তকারী দল । কিন্তু শাহজাহানের রোহিঙ্গা বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হতে হয় ইডি আধিকারিকদের । তিন অধিকারিককে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। লুটপাট চালানো হয় তাদের স্মার্টফোন কম্পিউটার প্রভৃতি । তারপর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যায় ইডির উপর হামলার মাস্টারমাইন্ড শেখ শাহজাহান । তার অনুপস্থিতির পর সন্দেশখালীর মহিলারা শাহজাহান ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে পিঠে করে দেওয়ার নাম করে পার্টি অফিসে ডেকে ধর্ষণ বা গণধর্ষণের অভিযোগ তোলে । গোটা দেশ জুড়ে তোলপাড় পড়ে যায় । শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা ও উত্তম সরদার কে পুলিশ গ্রেফতারও করে । কিন্তু শাহজাহানকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশের কোন হেলদোল ছিল না বলে অভিযোগ । এতে ঘরেও বাইরের চাপের মুখে পড়ে রাজ্য সরকার । শেষ পর্যন্ত ২৯ ফেব্রুয়ারি সকালে মিনাখাঁ থেকে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ । কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ শাহজাহানকে সিবিআই এর হাতে তুলে দেওয়ার কথা । পাশাপাশি শেখ শাহজাহান সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র সিবিআই তে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছে মহামান্য আদালত ।।