জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,চিত্তরঞ্জন,২৯ ডিসেম্বর : চিত্তরঞ্জনে রেলের জায়গায় অবৈধভাবে নির্মিত ঘর-বাড়ি উচ্ছেদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে সোচ্চার হলেন আসানসোলের মেয়র তথা বারাবণির তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। গত কয়েক বছর ধরে চিত্তরঞ্জনে রেলের জায়গায় অসংখ্য অবৈধ নির্মাণ গড়ে উঠেছে। রেল কর্তৃপক্ষ সেগুলি অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিশ জারি করে। রেল কর্তৃপক্ষের দাবি এখান থেকেই চলছে যত অসামাজিক কার্যকলাপ। সেখানে বসবাসকারীরা রেলের এই নোটিশকে গুরুত্ব না দেওয়ার জন্য সম্প্রতি বিশাল আরপিএফ বাহিনী নামিয়ে রেলের পক্ষ থেকে বুলডোজার চালিয়ে অবৈধ নির্মাণগুলোকে ভেঙে ফেলতে শুরু করা হয় । প্রায় শতাধিক এইরকম অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হয়।
এইসব বাড়িগুলোতে থাকত সবজি বিক্রেতা, ফুচকাওয়ালা, বিভিন্ন বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করা গরীব মানুষেরা। তাদের বক্তব্য এই ঠান্ডায় আমরা থাকব কোথায়?
স্থানীয় তৃণমূল নেতা দেবু ঘোষের নেতৃত্বে উচ্ছেদে বাধা দিতে এগিয়ে আসে সেখানকার বাসিন্দারা। তাদের হাতে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা। এই বাধাকে অগ্রাহ্য করে রেল উচ্ছেদ কার্য চালায় এবং রেল পুলিশ দেবু ঘোষকে আটক করে। রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে স্থানীয়দের বক্তব্য,আমাদের ঘর ভেঙে দিলেও রেল কিন্তু তাদের জায়গায় থাকা বিজেপির নেতার দোকান বা দলীয় অফিস ভাঙেনি।
যদিও বিজেপি নেতা শঙ্কর তেওয়ারীর বলেন, ‘দোকানের জন্য রেল তাকে এক হাজার স্কোয়ার ফুট জায়গা দিয়েছে। কেন দিয়েছে? – এই প্রশ্নের তিনি কোনো উত্তর দেননি। বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের ব্যাপারে তার স্পষ্ট বক্তব্য, শহরের মধ্যে থাকা অন্য দলের কার্যালয়গুলি আগে ভাঙলে তবেই তিনি নিজেদের কার্যালয় ভাঙতে দেবেন।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা ভোলা সিং বলেন, এই ঘটনা গরীব মানুষের প্রতি মোদি-শাহর নিষ্ঠুর নীতি প্রমাণ করে দেয়। ঠান্ডার মধ্যে গরীব মানুষগুলোর মাথার ছাদ কেড়ে নিতে তাদের দ্বিধা হলনা। আসন্ন লোকসভা ভোটে এলাকার মানুষ তার জবাব দেবে।
এদিকে যাদের বাড়ি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বারাবনির বিধায়ক তথা আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। তার উদ্যোগে গৃহহারাদের আপাতত হিন্দুস্তান কেবলসের পড়ে থাকা স্কুল ঘরগুলিতে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।।