এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৩ মে : এরাজ্যে চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচন মোটেও শান্তিপূর্ণ হল না । বোলপুর, বীরভূম,আসানসোল, বহরমপুর,কৃষ্ণনগরে কোথাও বুথ দখল করে দেদার ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ, কোথাও বিরোধী দলের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে । বাদ গেল না বর্ধমান- দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রও । আক্রান্ত হতে হয়েছে খোদ বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষকেও । এবারে দিলীপবাবুর নির্বাচনী ক্ষেত্র ভাতারেও আক্রান্ত হতে হল বিজেপিকে । আজ বিকেলের দিকে ভাতার থানার ঢেঁড়িয়া গ্রামে ৩ বিজেপি নেতাকে বেদম মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে । মাথা ফাটে ভাটাকুল গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত গোস্বামী নামে এক বিজেপি নেতার । এনিয়ে ভাতার থানায় অভিযোগ জানান সুব্রতবাবু ।
তার অভিযোগ,’এদিন বিকেলে খবর পাই যে ঢেড়িয়া গ্রামে ৬৬ এবং ৬৭ নম্বর বুথে আমাদের পোলিং এজেন্টদের মারধর করছে তৃণমূলের লোকজন । সঙ্গে সঙ্গে আমরা সেখানে ছুটে যাই । কিন্তু আমরা সেখানে পৌঁছতেই তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী আমাদের উপর হামলা চালায় । কোনো রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে আমরা সেখান থেকে পালিয়ে আসি ।’ যদিও বিজেপির বিরুদ্ধে বহিরাগতদের নিয়ে এসে বুথ দখলের পালটা অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক শান্তনু কোঁয়ার ।
প্রসঙ্গত,বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মন্তেশ্বরের টুল্লা গ্রামের উঞ্জা এফপি স্কুলের ১০৪ নম্বর বুথের বিজেপির এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে । খবর পেয়ে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ সেখানে ছুটে গেলে তৃণমূলের লোকজন তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । প্রার্থীর নিরাপত্তারক্ষীর গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। দিলীপ ঘোষকে লক্ষ্য করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও দেওয়া হয় । পাশাপাশি দুর্গাপুরের তুল্লা বাজার এলাকায় দিলীপ ঘোষের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে । আক্রান্ত হন তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ইন্সপেক্টর সুনীল কুমার ও কনস্টেবল রামু প্রমা। তাঁদের মাথা ফাটে এবং হাতে গুরুতর আঘায় লেগেছে । ভাঙচুর চালানো হয় নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়িও । আহতদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে তৃণমূলের লোকজন হাসপাতাল ঘিরে রাখে । এছাড়া সংবাদ মাধ্যমেরও উপরেও হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ।
দিলীপ ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন ,’তৃণমূলের শেষের দিনের শুরু । বর্ধমান-দুর্গাপুরে শোষণের রাজনীতি চলবে না। আজ গো হারা হারবে বুঝতে পেরে সন্ত্রাসকে আঁকড়ে টিকে থাকার মরিয়া চেষ্টা আর ব্যর্থ আস্ফালন দেখলাম তৃণমূলের। আমাদের উপর মন্তেশ্বরের তুল্লা গ্রামে (বুথ-56) এবং কালনা গেটের সামনে (বুথ-204) হামলা হল। গাড়ি ভেঙেছে, নিরাপত্তা রক্ষীর মাথা ফাটিয়েছে। সাংবাদিক, মহিলা মহিলাদের উপরেও হামলা করতে ছাড়েনি ওরা। গায়ের জোরে ভোট করানো তৃণমূলের একমাত্র রাজনীতি হয়ে গেছে। আর ওরা বুঝে গেছে আমরা সেটা হতে দেব না। তাই আমার উপর বারবার হামলার চেষ্টা করা হল।এই লড়াই গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াই। বর্ধমান-দুর্গাপুরের মানুষ ভোটবাক্সে তাণ্ডব করেছে ।’।