অন্তরা সিংহরায়,দুর্গাপুর(পশ্চিম বর্ধমান),১২ জুন : অসংখ্য কবির ধাত্রীভূমি বাংলায় রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের পাশাপাশি আরও অনেক কবি আছেন কাব্য জগতে তাদের অবদান যথেষ্ট হলেও অনেক ক্ষেত্রে তারা অবহেলিত থেকে গেছেন। তাদের নিয়ে সেভাবে সার্বিক আলোচনা হয়না। গত দশ বছর ধরে কাব্য রসিকদের সামনে তাদের সৃষ্টি তুলে ধরার মহান ব্রত পালন করে চলেছে দুর্গাপুরের ‘শ্রীসঙ্গীতম’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
প্রায় শতাধিক সঙ্গীত শিল্পী ও বাচিক শিল্পীর উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগে সম্প্রতি দুর্গাপুরের স্বপন ব্যানার্জ্জী স্মৃতি মঞ্চে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সাম্যবাদী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, গীতিকার অতুলপ্রসাদ সেন এবং পল্লী কবি লালন ফকিরের সৃষ্টির মধ্য দিয়েই তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্যে এক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। নজরুলের জন্মদিনের পর কোনো একসময় তারা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি শিল্পী ও অতিথিদের যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে বরণ করে নেওয়া হয়। তাদের হাতে ‘শ্রীসঙ্গীতম’ সম্মাননা পত্র ও সবুজ পৃথিবী সম্মাননার মধ্য দিয়ে একটি করে গাছ তুলে দেওয়া হয়। মূলত পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় । উদ্বোধনী সঙ্গীত ‘আগুনের পরশমণি…’ পরিবেশন করে উপস্থিত কচিকাচা শিল্পীরা। উপস্থিত শ্রোতারাও উদ্বোধনী সঙ্গীতে গলা মেলান। কবিতা পাঠ, সঙ্গীত ও নৃত্যে ভরপুর ছয় ঘন্টা ব্যাপী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কবি ও বাচিক শিল্পী অন্তরা সিংহরায় সহ অন্যান্যরা।
এর আগে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন সাংবাদিক নীলোৎপল রায়চৌধুরী। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন কবি অপর্ণা দেওঘরিয়া, বাচিক শিল্পী করবী রায় চৌধুরী, সঙ্গীত শিল্পী বেনীমাধব কুন্ডু। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিমল দাস, দেবব্রত ঘোষ, জয়ন্ত চৌধুরী, অমিতেশ বিশ্বাস, ডলি দে, রাসমণি ব্যানার্জি,অসিত সেনগুপ্ত প্রমুখ। এযেন এক চাঁদের হাট তথা সাংস্কৃতির মিলন উৎসব। অনুষ্ঠানে শিল্পীদের পরিবেশনা দর্শকদের মুদ্ধ করে ।
গৌতমবাবুর উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে অন্তরা দেবী বললেন,গৌতম বাবুর সৌজন্যে স্মৃতির অন্তরালে চলে যাওয়া কবিদের কথা জানতে পারছে বর্তমান প্রজন্ম। এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পাওনা। আশাকরি আগামীদিনে আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের হাত ধরে অন্যান্যদেরও পরিচিতি ঘটবে।
উপস্থিত কবি-শিল্পীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে গৌতমবাবু বললেন,সঙ্গীতকে ভালোবেসে নেশা ও পেশা এক করেছি । চেষ্টা করি সুষ্ঠু সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে শিল্পীদের মধ্যে সাংস্কৃতিক চেতনা বৃদ্ধি করতে ।।