দিব্যেন্দু রায়,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),০৯ আগস্ট : গ্রামের হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে নখকুনির ওষুধ আনতে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে খুন হলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের এক আদিবাসী বিধবা মহিলা । পুলিশ জানিয়েছেন, মৃতার নাম সুমি সোরেন(৪৫) । তাঁর বাড়ি আউশগ্রাম থানার সোমাইপুর গ্রামের লাইকিংপাড়ায় । মঙ্গলবার সন্ধ্যার তিনি বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন । আজ বুধবার সকালে বাড়ির অনতিদূরে ধান জমির মাঝে আলের উপর মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ । দেহের পাশেই পড়ে ছিল মহিলার ছাতা ও টর্চটি । মাথার ডান দিকে কানের কাছে রক্ত ও আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে । আলের ওপরের পড়ে ছিল চাপ চাপ রক্ত । পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসীদের সন্দেহ যে সুমিদেবীকে ভারি কিছু বস্তু দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গেছে,সোমাইপুর গ্রামের বাসিন্দা সুমি সোরেন খেতমজুরের কাজ করতেন । প্রায় সাতবছর আগে তার স্বামী জামরু সোরেন রোগে মারা যান । তাদের এক ছেলে মিঠুন । পেশায় জনমজুর মিঠুন বিবাহিত । সুমিদেবীর পুত্রবধূ রুবিনীও জনমজুরের কাজ করেন । ছেলে, পুত্রবধূ ও দুই নাবালক নাতিকে নিয়ে ছিল সুমিদেবীর সংসার ।
রুবিনী সোরেন জানান,কিছুদিন যাবৎ নখকুনির ব্যাথায় কষ্ট পাচ্ছিলেন তাঁর শাশুড়ি । সেই কারনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রামেরই এক হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে ওষুধ আনতে গিয়েছিলেন । কিন্তু রাতভর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি । মিঠুন বলেন, ‘প্রতিবেশীদের সঙ্গে আমরা রাত্রি প্রায় ১২ টা পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করি । কিন্তু মায়ের কোনো সন্ধান পাইনি । এদিন সকালে স্থানীয় লোকজন খবর দেয় যে আমার মাকে কেউ খুন করে দিয়েছে । মাঠের মাঝে আলের উপর মায়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে । একথা শুনে আমরা সেখানে ছুটে যাই ।’
কিন্তু কে বা কারা এবং কি উদ্দেশ্যে সুমি সোরেনকে খুন করল তা নিয়ে ধন্দ্বে রয়েছে পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা । জানা গেছে,এদিন সকালে স্থানীয় লোকজন মাঠে কাজ করতে যাওয়ার পথে ওই মহিলার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে । পরে খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় । পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে । এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ।।