দিব্যেন্দু রায়,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),১৯ জুন : স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের জেরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটাল পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের ছোড়া গ্রামের বাসিন্দা ৪২ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তি । সোম সোরেন নামে ওই ব্যক্তি শাশুড়ি মুঙ্গুলি মুর্মুর (৬৫) এবং সুকতি সোরেনকে মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায় । ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শাশুড়ির । তার স্ত্রী আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । অবশ্য হামলার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন সোম সোরেন ৷ আজ বুধবার সকালে গ্রামের ফাঁকা মাঠের মধ্যে একটি গাছ থেকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ ।
জানা গেছে,আউশগ্রামের ছোড়া গ্রামের আদিবাসীপাড়ায় বাড়ি সোম সোরেনের । স্ত্রী সুকতির সঙ্গে এক ব্যক্তির পরকীয়া সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করতেন তিনি ৷ এনিয়ে মাস পাঁচেক ধরে অশান্তি চলছিল । গ্রামে সালিশিসভাও বসে বেশ কয়েকবার । তাতেও দাম্পত্য কলহ মেটেনি । শেষ পর্যন্ত পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে শুরু করেন সোম ।
জানা গেছে,মঙ্গলবার রাতে সুকতি সোরেনের বাপেরবাড়িতে এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল । রাতে খাওয়া দাওয়ার পর মা মুঙ্গুলি মুর্মুর সাথে ঘরে ঘুমতে চলে যান সুকতি । গভীর রাতের দিকে একটা ধারাল অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় সোম। তারপর সে ঘুমন্ত শাশুড়ি ও স্ত্রীকে অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে । এদিকে চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে । এই দেখে চম্পট দেয় সোম । এরপর মুঙ্গুলি মুর্মু ও তার মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে বননবগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে মুঙ্গুলি মুর্মুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় । সুকতি সোরেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বর্ধমান হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ সুকতির গলার নলি কেটে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে । আজ সকালে মাঠের একটা গাছ থেকে ঘাতককে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় । ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ।।