এইদিন ওয়েবডেস্ক,রায়পুর,১০ ডিসেম্বর : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পরিচিত এবং এই ধরনের সিদ্ধান্তের অনেক নজির আছে সাম্প্রতিক সময়ে। ছত্তিশগড়ের ক্ষেত্রেও একই কথা সত্য হয়েছে এবং মোদী-শাহ জুটি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নতুন মুখ বেছে নিয়েছেন । ছত্তিশগড়ের কুনকুড়ির বিধায়ক প্রবীণ আদিবাসী নেতা বিষ্ণুদেব সাইকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত করেছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটি । কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অর্জুন মুন্ডা, সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং দুষ্যন্ত কুমার গৌতম দলের ৫৪ জন বিধায়কের সাথে আলোচনা করেছেন। এরপরই সিদ্ধান্ত হয় মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে । বিষ্ণু দেব ছাড়াও সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর তালিকায় ছিলেন রমন সিং, রামবিচার নেথাম, রেণুকা সিং এবং ওপি চৌধুরী ।
বিষ্ণুদেব সাইকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়ার একটি বিশেষ কারণও রয়েছে, বিষ্ণুদেব সাই হলেন ছত্তিশগড়ের একজন বড় আদিবাসী নেতা এবং লোকসভা নির্বাচন এক বছরেরও কম সময় বাকি। এই পরিস্থিতিতে বিষ্ণুদেব সাইয়ের হাতে রাজ্যের দ্বায়িত্ব ভার তুলে দিয়ে ছত্তিশগড়ের আদিবাসী ভোটব্যাঙ্কের নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা করেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক অভিজ্ঞমহল ।
এখন রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশেও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নতুন মুখ বসানো এক প্রকার নিশ্চিত। সোমবার অথবা মঙ্গলবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে ।
উল্লেখ্য,বিষ্ণুদেব সাই-এর নির্বাচনী ক্ষেত্র ছত্তিশগড়ের কুনকুড়ির এলাকাটি হল আদিবাসী অধ্যুষিত । রাজ্যে উপজাতি সামুরাইদের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা রয়েছে এবং বিষ্ণুদেব সাই এই সম্প্রদায়ের অন্তর্গত । তিনি ২০২০ সালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হয়েছেন। তিনি চারবারের সাংসদ এমপি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিষ্ণুদেব সাইকে সংঘের সবচেয়ে কাছের নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি ১৯৯৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রায়গড়ের সাংসদ ছিলেন। মোদী সরকারের প্রথম মেয়াদে তাঁকে কেন্দ্রে মন্ত্রী করা হয়েছিল। এরপর তিনি সংগঠনের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। অজিত যোগীর পর ছত্তিশগড়ে আর কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করা সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয়বারের মতো উপজাতীয় মুখ্যমন্ত্রী বেছে নিল বিজেপি ।।