এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,২৪ জানুয়ারী : পাকিস্তানে খাদ্য সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে । শিশু সন্তানদের অনাহারে দেখে আত্মহত্যা করছেন আদিবাসী মা ও বাবা । ক্ষুধার জ্বালায় খাদ্য সামগ্রীর দোকানদারকে গুলি করে খুন করে লুটপাট চালানোর ঘটনা পর্যন্ত ঘটছে পাকিস্থানে । জানা গেছে,সিন্ধু প্রদেশের তান্ডো আল্লাহয়ার (Tando Allahyar) জেলার ঝান্ডো মারি (Jhando Mari) শহরে এক আদিবাসী দম্পতি আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে । নারাইন দাস ভেইল নামে এক ইউজার্স টুইটারে পোস্ট করেছেন ঝান্ডো মারি (Jhando Mari) তান্ডো আল্লাহয়ার (Tando Allahyar) সিন্ধ -দুই দিন ধরে শিশুদের অনাহারে থাকতে দেখে আত্মহত্যা করলেন পরষাণ ভীলের মা। মায়ের মৃত্যুর পর বাড়িতে শিশুদের কান্না দেখে সন্তানের বাবা নাগিও ভেলও পরের দিন আত্মহত্যা করেছেন ।’
পাক মুজাহিদিন নামে এক টুইটার ইউজার্স একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন,’করাচিতে একজন দোকানদারকে গুলি করে হত্যা করেছে ২ জন লোক । যারা তার দোকান থেকে খাদ্যশস্য লুট করার চেষ্টা করেছিল । পাকিস্তানের সমস্ত বড় শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ । খাদ্য ও জলের প্রবল ঘাটতি । অনাহারে মানুষ একে অপরকে মারতে শুরু করেছে। প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে ।’
ফাতিমা ধর নামে একজন ইউজার্স একটি ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন,’এটি মোটরসাইকেল র্যালি নয়, পাকিস্তানের মানুষ মরিয়া হয়ে ধাওয়া করছে গমের আটা বহনকারী একটি ট্রাক, মাত্র এক ব্যাগ কেনার আশায় । পাকিস্তানে পুরো নৈরাজ্য চলছে ! অর্থনৈতিক সংকট এতটাই খারাপ যে মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে.. এদিকে পাকের ফোকাস এখনও একই, অর্থাৎ সন্ত্রাসবাদ ।’
পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সঙ্কট গভীর হওয়ার সাথে সাথে দেশের সাধারণ মানুষ খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের তীব্র সংকটে ভুগছে।আল আরাবিয়া পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) কার্যক্রম পুনরায় চালু না হলে পাকিস্তানের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে । এর আগে আইএমএফ পাকিস্তানকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বল অর্থনীতি হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস রিপোর্ট অনুযায়ী,চলতি বছর পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হবে মাত্র ১.৭%। এদিকে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণে পাকিস্তানের কোনো প্রচেষ্টা না থাকায় আইএমএফ তার ২৪ তম ঋণের অনুমোদন বিলম্বিত করছে। অন্যদিকে, সৌদি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)ও পাকিস্তানকে সতর্ক করেছে যে অতীতের মতো বিনামূল্যে সবকিছু পাবে না তারা । ফলে অতান্তরে পড়ে গেছে শাহবাজ শরীফ সরকার ।।