এইদিন ওয়েবডেস্ক,সিউড়ি(বীরভূম),১৫ ফেব্রুয়ারী : পূর্ব ঘোষণা মত ডেউচা পাঁচামির প্রস্তাবিত কয়লা খনি এলাকায় গাছগুলি “ডিসলোকেট” বা পুনর্বাসন দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গেছে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকল্পের বাইরে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে ভূমি ও ভূমি সংস্কারের একটি জায়গা আছে,যেটি চাঁদা মৌজার অন্তর্গত, সেখানেই করা হবে প্রতিস্থাপন করা হবে গাছগুলি৷ আইআইটি খড়গপুরের একটি সংস্থার তত্ত্বাবধানে গাছগুলিকে পুনর্বাসনের কাজ হবে বলে জানা গেছে । তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন,প্রাথমিক পর্যায়ে ১৮০ টা গাছ তুলে অন্য জায়গায় বসানো হবে । ধাপে ধাপে ৯৮০ টা গাছকেই পুনর্বাসন দেওয়া হবে বলে জানান তিনি ।
পাশাপাশি গাছ পুনর্বাসন প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ঢালাও প্রশংসা করে তিনি বলেছেন,’মমতা ব্যানার্জি প্রত্যেকটা প্রাণকে ভালোবাসে ।’ তিনি বলেন,’মমতা ব্যানার্জির সব প্রাণীকেই ভালোবাসে, গাছকেও ভালোবাসে । জেলাশাসক সাহেব আপনাদেরকে বলেছেন এখন ১৮০ টা গাছ তুলে অন্য জায়গায় বসাবেন । ৯৮০ টা গাছ আছে, সবগুলোকে তুলে ওখানে বসানো হবে। এর নাম মমতা ব্যানার্জি । মমতা ব্যানার্জি প্রত্যেকটা প্রাণকে ভালোবাসে । প্রতিটি মানুষকে যেমন ভালোবাসে, গাছেরও একটা প্রাণ আছে । সেই প্রাণটাকে নষ্ট করার অধিকার আমাদের কারোর নেই ।’ অনুব্রত মণ্ডলের দাবি,’এতে আদিবাসীরা খুব খুশি ।’ তিনি বলেন, ওই গাছগুলো আদিবাসীরা লাগিয়েছিল । এক একটা গাছের বয়স ৫০ থেকে ৬০ বছর । আর সেই গাছগুলোকেই ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ হচ্ছে ৷’ অনুব্রত আরো দাবি করেন যে ওই এলাকায় প্রচুর কর্মসংস্থান হয়েছে এবং হচ্ছে । আগামী দিনে ১ লক্ষ মানুষ করে খাবে ।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের (পিডিসিএল) অধীনে খড়গপুরের একটি সংস্থা গাছ ডেউচা পাঁচামির প্রস্তাবিত কয়লা খনি এলাকার সরানোর কাজ করছে। প্রকল্প এলাকার মধ্যে থাকা ১২ একর জমির মধ্যে বহু মহুয়া, শাল ও অর্জুন গাছ রয়েছে। সেগুলিই অন্য জায়গায় বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে সেই কাজ। বৃহস্পতিবার সকালে মহম্মদবাজারের চাঁদা মৌজায় সেই গাছ তোলার চলছিল। আদিবাসীদের দাবি ছিল যেন খনির কাজের জন্য জঙ্গল নষ্ট না হয়। সেই মত জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়। সেই মত কাজও শুরু হল।।