• Blog
  • Home
  • Privacy Policy
Eidin-Bengali News Portal
  • প্রচ্ছদ
  • রাজ্যের খবর
    • কলকাতা
    • জেলার খবর
  • দেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • রকমারি খবর
  • ব্লগ
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • রাজ্যের খবর
    • কলকাতা
    • জেলার খবর
  • দেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • রকমারি খবর
  • ব্লগ
No Result
View All Result
Eidin-Bengali News Portal
No Result
View All Result

ভ্রমণ : পশ্চিম মেদিনীপুরের ঐতিহাসিক স্থাপত্য আজও আকর্ষিত করে পর্যটকদের, অজানা বহু ইতিহাসের স্বাক্ষী কুরুমবেড়া ফোর্ট

Eidin by Eidin
April 3, 2023
in রকমারি খবর
ভ্রমণ  : পশ্চিম মেদিনীপুরের ঐতিহাসিক স্থাপত্য আজও আকর্ষিত  করে পর্যটকদের, অজানা বহু ইতিহাসের স্বাক্ষী কুরুমবেড়া ফোর্ট
পশ্চিম মেদিনীপুরের কুরুমবেড়া ফোর্ট
12
SHARES
176
VIEWS
Share on FacebookShare on TwitterShare on Whatsapp

কেশিয়াড়ি থেকে প্রায় মাইল তিনেক ভিতরে কুড়ুমবেড়া দুর্গটি অবস্থিত । পশ্চিম মেদিনীপুরে যে এই রকম একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য আছে সেটা মেদিনীপুরে থেকেও অনেকের কাছে অজানা। যেমন আমি জানতাম না। শোনার পরেই ইচ্ছে প্রকাশ করলাম ।

লিখেছেন : মালবিকা পণ্ডা

ব্যস কপাল দেবী প্রসন্ন হলেন । আমরাও বেরিয়ে পড়লাম গাড়ি নিয়ে । বেলদার রাস্তা ধরে এগিয়ে গেলাম । কুকাই থেকে ভিতরে যেতে হয় । কখনও এই রাস্তা দিয়ে কোথাও যাই নি । এই প্রথম ।
যেতে যেতে গগনেশ্বর গ্রাম পড়ল । ওখানে আমার স্বামীর পিসির শ্বশুরবাড়ি । তারপর আরও কিছুটা গিয়ে দেখতে পেলাম পাথর দিয়ে তৈরি একটি জরাজীর্ণ দুর্গ । কোনো রকম সংস্কার হয় নি । ঢোকার মুখে বিশাল একটা সাইনবোর্ড । ভিতরে ঢুকে আগে চার দিকটা ভালো করে চোখ বুলিয়ে নিলাম । কি বিশাল জায়গা জুড়ে অছে দুর্গটি । তরপর দেখতে পেলাম দূরে একজন ভিতরে গজিয়ে ওঠা ঘাসগুলো পরিস্কার করছে । তাকে গিয়ে আমি পাকড়াও করলাম । তারপর প্রশ্নের পর প্রশ্ন । এখানে আপনি কতদিন কাজ করছেন , কেমন মানুষ জন আসে দেখতে , আপনি লোক মুখে এই দুর্গ সম্বন্ধে কি কি শুনেছেন । লোকটি ভাবলো , কার পাল্লায় পড়েছি রে বাবা !
এত প্রশ্ন কেউ কোনো দিন করে নি । দূরে দেখলাম একদল ছাত্র ছাত্রী পিঠে ব্যাগ নিয়ে চারদিক ভালো করে দেখছে এবং নিজেদের মধ্যেই নানারকম আলোচনা করছে । দেখে বেশ ভালো লাগলো , একটা গ্রামে অবস্থিত জরাজীর্ণ দুর্গের প্রতি আগ্রহ দেখে । এই সব ছাত্র ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে দুর্গটি আরও ভালোভাবে সংস্কার করা দরকার । তার সঙ্গে রাস্তা ঘাট অবশ্যই । তবেই একটা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে । দুর্গটি কে তৈরী করেছেন এই নিয়ে অনেক মতান্তর আছে ।
দুর্গটির চারপাশে যে প্রাচীর আছে সেটা অনেকটাই মাটিতে বসে গেছে । যার ফলে প্রাচীরের উচ্চতা কিছু টা কমে গেছে । তাও উচ্চতা এখন দশ ফুটের মত , আর চওড়া তিন ফুটের মত হবে । প্রাচীরের গায়ে , দুর্গের ভিতরে প্রাচীরের গায়ে পাথরের তৈরী ছোট ছোট খুপরি বা কুঠরি আছে । ভালোভাবে যদি দেখা যায় তাহলে দেখা যাবে পাথরগুলো একটার উপর আর একটা এমন ভাবে বসানো হয়েছে (কোথাও চুন-সুরকি , বা সিমেন্ট বালির ব্যবহার বাইরে থেকে বোঝা যায় না) থরে থরে সাজানো রয়েছে যেন । অংকের হিসেবে তৈরী । নীচের দিকটা চওড়া আর উপর দিকটা ক্রমশ সরু হয়ে মিশেছে । অথচ এত বছর প্রায় অবহেলায় থাকা সত্ত্বেও দুর্গটি ভেঙ্গে পড়ে নি । দু এক জায়গায় দেখলাম সিমেন্ট দেওয়া , দেখে মনে হল কোথাও কোনো ফাটল দেখা দিয়েছিল , রাজমিস্ত্রির কাঁচা হাতে তাকে আবার নতুন করে রূপ দেবার চেষ্টা করেছে । কিন্তু আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার মত ক্ষমতা মনে হয় তাদের নেই । মাঝখানে আছে বিশাল চত্বর । পূর্ব দিকে একটি মন্দির ছিল , দেখলেই বোঝা যায় । তার ভগ্নাবশেষ এখনও অছে । আর পশ্চিম দিকে মসজিদ ছিল ।


প্রাচীন ইতিহাসের বহু উত্থান পতনের ঘটনা জড়িয়ে আছে গগনেশ্বর গ্রামে অবহেলায় পড়ে থাকা এই কুড়ুমবেড়া দুর্গটিতে । মাকড়া পাথরের তৈরী এই কুড়ুমবেড়া দুর্গটির দেওয়ালে প্রাচীন ইতিহাসের গন্ধ পাওয়া যায় । ১৯৫৮ সালের আইন অনুযায়ী এই দুর্গটি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া অধিগ্রহণ করে । দুর্গটি কারা নির্মাণ করেছিলেন , এই নিয়ে অনেক মতান্তর আছে । মন্দিরের গায়ে যে পাথরের ফলকটি আছে , তার সব অক্ষর গুলো প্রায় নিশ্চিহ্ন । কেবলমাত্র দু একটি স্থানে কিছু শব্দ পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয় নি , সেখানে দুটি শব্দ পাওয়া গেছে ।
একটি হল “বুধবার” এবং অন্যটি হল “মহাদেবঙ্ক মন্দির” ( তথ্য সূত্র যোগেশচন্দ্র বসুর মেদিনীপুরের ইতিহাস ) ।
মসজিদে যে শিলালিপিটি আছে , সেখান থেকে জানা যায় , ঔরঙ্গজেবের রাজত্ব কালে এটি তৈরী হয় । তৈরী করেন মহম্মদ তাহির । ( তখন হিজরী সন ছিল ১১০২ এবং ১৬৯১ খ্রীঃ অঃ ) একই দুর্গের ভিতরে হিন্দু মন্দির এবং মুসলিমদের মসজিদ এক বিরল দৃশ্য । মসজিদটি যে পাথর দিয়ে তৈরী , সেই গুলো দেখলে মনে হয় , কোনো হিন্দু মন্দিরের উপকরণ নিয়েই তৈরী হয়েছিল এই মসজিদটি ।
১৪৩৮ থেকে ১৪৭০ সালের মধ্যে উড়িষ্যার রাজা কপিলেন্দ্র বা কপিলেশ্বর এই মন্দিরটি তৈরি করেছিলেন । মন্দিরের গায়ে শিলালিপিটি থেকে যে শব্দ গুলো পাওয়া গেছে তা থেকে গবেষকরা মনে করেন ঊড়িষ্যার রাজা কপিলেশ্বর এই মন্দিরটি তৈরী করেছিলেন । পঞ্চদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি ঊড়িষ্যার রাজা ছিলেন কপিলেশ্বর ।
ঐতিহাসিক রাখালদাস বন্দোপাধ্যায়ের মতে, কপিলেশ্বর গনপতি বংশের রাজা ছিলেন । তার সাম্রাজ্য ছিল দক্ষিণে মারাঠা পর্যন্ত আর এইদিকে ছিল হুগলির মান্দারান পর্যন্ত ।
শোনা যায় কেশিয়াড়ি ও গগনেশ্বর ছিল তসর-সিল্ক উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্র । ব্যবসা থাকবে জনপদ থাকবে না , তা তো হয় না । এই কারণে সেখানে একটা বিশাল জনপদ গড়ে উঠেছিল । কপিলেশ্বর দেব এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করা পর বহু কাল ধরে হিন্দুদের কাছে পুণ্য স্থান হিসেবে পরিচিত ছিল । প্রাচীরের গায়ে , ভিতরের দিকে যে ছোট ছোট খুপরি মত ছিল সেই গুলো সাধু সন্ত , ও অতিথি অভ্যাগতদের জন্য নির্মিত হয়েছিল । দূর দূরান্ত থেকে যারা আসতেন, তারা একদিনেই ফিরে যেতে পারতেন না । তাই তাদের থাকার জন্য তৈরী করা হয়েছিল প্রাচীরের লাগোয়া ছোট ছোট থাকার জায়গা ।
তারপরেই মুসলমান শাসন শুরু হল । তখন এই দুর্গটি মুসলিমদের অধিকারে চলে যায় । তখন মন্দিরের পুজারীরা মনে করলেন যে , দেব মূর্তি কে যদি সরিয়ে নিয়ে না যাওয়া হয় , তাহলে মুসলমানরা দেব মূর্তিকে অবমাননা করতে পারে । আচার নিয়ম মেনে পূজো হবে না , এই ভয়ে পূজারীরা তাদের দেবতাকে দুর্গের মধ্যে একটি কুপের মধ্যে লুকিয়ে রাখেন। তারপর তারা মন্দির ছেড়ে চলে যান । আবার অনেকেই বলেন , তারা কুপের মধ্যে লুকিয়ে রাখেন নি , অন্য জায়গায় সরিয়ে দিয়েছিলেন বা সঙ্গে করে নিয়ে চলে গেছলেন । শিবলিঙ্গটির নাম ছিল কপিলেশ্বর । তার কারণ হল , রাজা কপিলেশ্বর এই শিবলিঙ্গটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন । আবার অনেকেই বলেন এই শিবলিঙ্গটির নাম গগনেশ্বর । যার কারণে ঐ গ্রামটির নাম গগনেশ্বর । আবার এমনও হতে পারে , গগনেশ্বর গ্রামের জন্য শিবলিঙ্গটির নাম গগনেশ্বর । এর কিন্তু কোনো লিখিত প্রমান নেই । সবটাই জনশ্রুতি ।


মুসলমানরা দুর্গটি অধিকার করার পর সেখানে তারা একটি মসজিদ নির্মাণ করে । তাহলে বোঝাই যাচ্ছে,আগে তৈরী হয়েছিল মন্দির তারপর তৈরী হয়েছিল মসজিদ । আবার অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে মারাঠা গন উড়িষ্যায় তাদের আধিপত্য বিস্তার করার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রদেশের কিছু জায়গা তাদের দখলে চলে যায় । তারপর তারা মুসলমানদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং ঐ স্থানটিকে একটি দুর্গে পরিণত করে । চারপাশে যে খুপরি গুলি ছিল , সেখানে সৈন্য সামন্ত দের থাকার জন্য নির্দিষ্ট করা হয় । মারাঠারা যতদিন ছিল ততদিন পর্যন্ত তারা তাদের দুর্গ রূপে ব্যবহার করেছিল । তাদের আধিপত্য যখন লোপ পেতে শুরু করে তখন থেকে দুর্গটি ধ্বংস হতে শুরু করে । এখন অবস্থা আরও খারাপ । দুর্গটির সামনে একটি পুকুর আছে । তার নাম যজ্ঞেশ্বর কুণ্ড ।
কুর্মবেড়া বা কুড়ুমবেড়া । কুর্ম শব্দের অর্থ কচ্ছপ ।
কাছিমের খোলা যেমন শক্ত তেমনি দুর্ভেদ্য শক্ত প্রাচীর দিয়ে ঘেরা জায়গাটির নাম কুর্মবেড়া – কুরুমবেড়া – কুড়ুমবেড়া । তার থেকেই মনে হয় “কুড়ুমবেড়া” নামটি এসেছে । যাই হোক , নামে কিবা আসে যায় । মেদিনীপুরের একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য এটাই বড় কথা ।।

Previous Post

হাওড়া ও হুগলিতে রামনবমীর শোভাযাত্রায় পাথরবাজি ঘটনায় ষড়যন্ত্রকারীদের নাম প্রকাশ করলেন শুভেন্দু অধিকারী

Next Post

রাজ্য সরকারের কাছে হাওড়ার শিবপুরে হিংসার রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট

Next Post
রাজ্য সরকারের কাছে হাওড়ার শিবপুরে হিংসার রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট

রাজ্য সরকারের কাছে হাওড়ার শিবপুরে হিংসার রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট

No Result
View All Result

Recent Posts

  • ফ্রান্সের নিওর্টে ২০ বছরের আফগান শরণার্থীর ধর্ষণে মৃত্যু ৮০ বছরের বৃদ্ধার  
  • স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি হারিয়ে এখন ঝালমুড়ি বিক্রেতা, রাজ্যের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির জেরে করুন পরিনতির মুখে মালদার দম্পতি ; দুষছেন মমতা ব্যানার্জিকে 
  • “বিন্দি” না লাগানোর জন্য প্রশ্ন করায় বলেছিলেন “মাই চয়েস”, এখন আবুধাবির মসজিদে ‘আবায়া’ পরে পর্যটনের প্রচার করে ট্রোল হচ্ছেন অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন ; সঙ্গে স্বামী রনবীর সিং ইসলামি কায়দায়
  • হিন্দু হওয়ার অপরাধে স্ত্রীকে চাকরিচ্যুত করেছে ইসলামী ব্যাঙ্ক, উদ্বেগে হৃদরোগে মৃত্যু স্বামীর
  • উত্তরবঙ্গ থেকে ভেসে যাওয়া কাঠের গুঁড়ি ‘চন্দন কাঠ’ বলে ২০ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় বিকোচ্ছে বাংলাদেশে
  • প্রচ্ছদ
  • রাজ্যের খবর
  • দেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • রকমারি খবর
  • ব্লগ

© 2023 Eidin all rights reserved.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • রাজ্যের খবর
    • কলকাতা
    • জেলার খবর
  • দেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • রকমারি খবর
  • ব্লগ

© 2023 Eidin all rights reserved.