জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান), ০৬ এপ্রিল : একটা সময় গ্রাম বাংলায় পানীয় জলের একমাত্র উৎস ছিল হস্তচালিত টিউবওয়েল। ধীরে ধীরে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে চালু হয়ে গেছে বিদ্যুৎ চালিত পাম্প। ওদিকে অবহেলায় নিজ নিজ বাড়ির তো বটেই নজরদারির অভাবে অধিকাংশ সরকারি টিউবওয়েলের অবস্থা বেহাল। সম্ভাব্য বিপদ অনুমান করে দপ্তরের পক্ষ থেকে সেগুলি মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ । একে তীব্র গরম, তার উপর আজ শনিবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ বিকট শব্দে বিষ্ফোরণ ঘটে গ্রামের মধ্যে থাকা বিদ্যুৎ সরবরাহকারী ট্রান্সফর্মারে। বিষ্ফোরণের তীব্রতায় ট্রান্সফর্মারের তেল ছিটকে বাইরে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে অন্ধকারের ডুবে যায় চাণক অঞ্চলের গণপুর গ্রাম। অনেকের অনুমান ক্ষমতার থেকে অতিরিক্ত চাপ পড়ে যাওয়ার জন্য ট্রান্সফর্মারে বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে।
তীব্র গরমের জন্য প্রবীণ থেকে শুরু করে অসুস্থ ব্যক্তি সহ সমস্ত গ্রামবাসী নাজেহাল হয়ে পড়েছে। কার্যত ভোরবেলা থেকে জেগে থাকতে বাধ্য হয়েছেন তারা। এদিকে বিদ্যুৎ না থাকার জন্য পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে গ্রামে কার্যত কোনো টিউবওয়েল নাই। অধিকাংশ সরকারি টিউবওয়েল অকেজো হয়ে পড়ে আছে। যে দু’একটা ব্যক্তিগত টিউবওয়েল আছে সেগুলোতেও চাপ পড়ছে। পানীয় জল নেওয়ার জন্য সেখানে প্রতিবেশীদের ভিড় বাড়ছে।
এদিকে জানা যাচ্ছে ছুটির দিন হওয়ার জন্য আগামী ৮ এপ্রিলের আগে নাকি ট্রান্সফর্মা পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। সবমিলিয়ে সমস্ত গণপুর গ্রামবাসীদের অবস্থা শোচনীয়। গ্রামের অন্যতম প্রবীণ ব্যক্তি জনার্দন জ্যোতি বললেন,’আমার বাড়িতে দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি নাই। আমার পক্ষে বাইরে থেকে জল আনা খুব সমস্যার। তাছাড়া গরমের জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে। আশাকরি বিদ্যুত দপ্তর পানীয় জলের সমস্যা ও আমাদের মত প্রবীণদের কথা ভেবে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।।