এইদিন ওয়েবডেস্ক,২৭ জানুয়ারী : পিঁপড়েরা তাদের নিজস্ব ওজনের পাঁচ হাজার গুণ বস্তু তুলতে সক্ষম । এখন বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন যে তারা আরও উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারে যা মানুষের পক্ষে অসম্ভব । পিঁপড়েরা প্রস্রাবে ক্যান্সারের গন্ধ সনাক্ত করতে পারে বলে জানতে পেরেছে গবেষকরা । প্রস্রাবের গন্ধ পরিবর্তনকারী বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার পাওয়া গেছে এবং বিস্তৃত গবেষণার পর গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন কখন রোগটি হয় তা কীটপতঙ্গ বলে দিতে পারে ।
রয়্যাল সোসাইটি বি বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস জার্নালে প্রকাশিত তাদের অনুসন্ধানে গবেষকরা বলেছেন যে এই কীটগুলিকে রোগীদের ক্যান্সার শনাক্ত করার জন্য একটি সাশ্রয়ী উপায় হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে । ফ্রান্সের প্যারিসের সোরবোন প্যারিস নর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যয়নের লেখক অধ্যাপক প্যাট্রিজিয়া ডি’এটোর বলেছেন, ‘পিঁপড়েকে টিউমার বহনকারী ব্যক্তিদের থেকে সুস্থ ব্যক্তিদের পৃথক করতে বায়ো-ডিটেক্টর হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে ।’
এই গবেষণাটি প্রফেসর ডি’এটোরে এবং তার সহকর্মীদের পূর্ববর্তী গবেষণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে । যেখানে তারা দেখিয়েছে যে পিঁপড়ারা ল্যাবে বেড়ে ওঠা মানুষের ক্যান্সার কোষগুলিকে “শুঁকে” নিতে সক্ষম হয়েছিল ।
সাম্প্রতিক গবেষণার জন্য গবেষকরা ‘ফর্মিকা ফুসকা’ নামে প্রজাতির ৭০ টি পিঁপড়েকে চিহ্নিত করেছিল । তাদের পরীক্ষার টিউমার সহ এবং ছাড়া ইঁদুরের প্রস্রাবের নমুনা দেওয়া হয়েছিল ।
তিনটি পরীক্ষার পরেই পিঁপড়ারা টিউমার বহনকারী ইঁদুরের থেকে সুস্থ ইঁদুরের প্রস্রাবের গন্ধের মধ্যে পার্থক্য বলতে সক্ষম হয়েছিল । প্রফেসর ডি’এটোরে বলেন,’পিঁপড়েদের ঘ্রাণতন্ত্র খুবই সংবেদনশীল । ফলে খুব অল্প পরীক্ষার পরেই তারা সব কিছু শিখে নিয়েছিল । পিঁপড়েরা কতটা দক্ষ এবং নির্ভরযোগ্য তা দেখে আমরা অবাক হয়েছিলাম ।’
গবেষকরা এখন দেখতে চান পিঁপড়েরা মানুষের প্রস্রাবের জন্য একই কাজ করতে পারে কিনা ।
পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গেছে কুকুর প্রস্রাবের গন্ধ থেকে ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারে। এছাড়াও এমন কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইস রয়েছে যা প্রস্রাবের নমুনা থেকে নির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সার সনাক্ত করতে পারে – যেমন মূত্রাশয়, স্তন বা প্রোস্টেট । তবে মানুষের নাক প্রস্রাবের গন্ধ থেকে ক্যান্সার চিহ্নিত করতে সক্ষম নয় ।।