সেখ মিলন,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৩ নভেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের কৃষাণ মাণ্ডির নির্মাণ কাজের গুণমান নিয়ে তুললেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা । মূলত ভবনের মেঝে নির্মান নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছন । সাধারণত মেঝের মাটি খুঁড়ে তাতে বালি ভরাটের পর জল ভর্তি করে বালি বসানোর কাজ করা হয় প্রথমে৷ তারপর সেই বালির উপর ঢালাই করা হয় । কিন্তু ভাতারের কৃষাণ মাণ্ডির ভবনের মেঝের মাটি কেটে ভরাটের কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ । এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন যে যথাযথ নিয়ম মেনে কাজ হচ্ছে না । যদিও ঠিকাদার সংস্থার সুপারভাইজার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন । তার দাবি সিডিউল মেনেই কাজ হচ্ছে ।
জানা গেছে,ভাতার থানার উলটো দিকে বর্ধমান- কাটোয়া রাজ্য সড়ক পথের ঠিক পাশেই রয়েছে ভাতারের কৃষাণ মাণ্ডি । মূলত ভাতার বাসস্ট্যান্ড এলাকার শব্জি ও মাছের কারবারিদের তুলে মাণ্ডিতে নিয়ে গিয়ে বসানো হয় । সময়ের সাথে সাথে পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন জেলার শব্জি বিক্রেতারা ভাতারের কৃষাণ মাণ্ডিতে বেচাকেনা শুরু করেন । স্থানাভাবে তারা মাণ্ডির ফুটপাতের পাশে অস্থায়ী ছাউনি করে ব্যাবসা করছিলেন এতদিন । এর ফলে খরিদ্দারদের কেনাকাটা করতে গিয়ে চরম অসুবিধার মুখে পড়তে হয় । একথা মাথায় রেখে হকারদের স্থায়ী ঠিকানা করে দিতে সম্প্রতি বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার পক্ষ থেকে পৃথক ভবন নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে । সবজি বিক্রেতা সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীদের বসানোর লক্ষ্যে টিনের ছাউনি যুক্ত বড় বড় চাতাল তৈরি করা হয়েছে । পিলার ও গাঁথনির কাজ প্রায় সম্পন্ন । কিন্তু যেভাবে নির্মান কাজ হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মাণ্ডির ব্যবসায়ীরা ।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ,চাতালের মেঝের তৈরির জন্য বালির পরিবর্তে পাশের মাটি কেটে বা অন্য জায়গা থেকএ আবর্জনা এনে ভরাট করা হচ্ছে। যার ফলে অল্প দিনের মধ্যেই মেঝেতে ফাটলের সৃষ্টি হবে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন । তাদের দাবি যে নিয়ম মেনে প্রথমে বালি দিয়ে মেঝে ভরাট করে ঢালাইয়ের কাজ করা হোক । যদিও ঠিকাদার সংস্থার সুপারভাইজার মলয় চৌধুরীর দাবি, সিডিউল মেনেই কাজ করা হচ্ছে। মেঝেতে যে মাটি দেওয়া হচ্ছে জল দিয়ে ভালো করে বসিয়ে বালি ব্যবহার করব । আমাদের গাঁথনিতে কিছু আবর্জনা পড়ে আছে সেগুলিকে আমরা সরিয়ে নেব।’।