প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৯ মে : প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে একাধিক তুরুণীকে বিয়ে করার পর তাদের উপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হল এক যুবক । ধৃতের নাম লক্ষ্মণ দাস ওরফে অজয় সিং। বর্ধমান শহর লাখোয়া সদরঘাট এলাকায় তার বাড়ি।দুই স্ত্রীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানার পুলিশ দুটি পৃথক মামলা রুজু করে মঙ্গলবার রাতে আমড়া বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ বুধবার ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে । ভারপ্রাপ্ত সিজেএম ধৃতকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ২ জুন ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন ।
পুলিশ জানিয়েছে, লক্ষণ দাস শক্তিগড় থানার শিলেপাড়া নিবাসী মাম্পি জানাকে । ২০১৭ সালে প্রেমের জালে ফাঁসায়। পরে তাকে বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে নিয়ে গিয়ে সে বিয়ে করে। বিয়ের বছর দু’য়েক পর স্বামী লক্ষণের অন্য মহিলার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে জানতে পারেন মাম্পি। তা নিয়ে প্রতিবাদ করায় মাম্পির উপর নির্যাতন চালানো শুরু করে লক্ষণ । অত্যাচার দিন দিন বাড়তে থাকে। লক্ষ্মণ ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী মিলে রবিবার সন্ধ্যায় মাম্পিকে মারধর করে। এরপরই মাম্পি শক্তিগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ।
অন্যদিকে শক্তিগড় থানার আমড়ার বাসিন্দা বিউটি মালিকের অভিযোগ,গতবছর নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক পাতায় লক্ষ্মণ। কিছুদিন পর সে তাঁকে বিয়ে করে । বিয়ের কিছুদিন পর থেকে লক্ষণ তাঁর উপর অত্যাচার চালাতে শুরু করে। বর্তমানে বিউটি ২ মাসের অন্তসত্বা। রবিবার রাতে লক্ষ্মণ তাঁকে মারধর করে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। সদরঘাটে এসে তাঁকে ফের মারধর করে। বিউটির অভিযোগ সদরঘাটেই তিনি জানতে পারেন, লক্ষ্মণ আরও কয়েকজনকে একই ভাবে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করেছে। এমনটা জানার পরে বিউটি ওইদিধ রাতেই লক্ষণের বিরুদ্ধে শক্তিগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।তার ভিত্তিতেই দুটি পৃথক মামলা রুজু করে পুলিশ লক্ষণকে গ্রেপ্তার করে ।।