এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,৩০ মার্চ : ফের বিতর্কে জড়াল রাজ্য পুলিশের চুক্তিভিত্তিক কর্মী সিভিক ভলান্টিয়ার । এবারে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে রাজবাঁধ গোপালপুর টোলপ্লাজার কাছে জিটি রোডে পন্যবাহী গাড়ি আটকে তোলাবাজির অভিযোগ উঠল সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে । বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটা ভিডিও পোস্ট করেছেন এক্স-এ । সেই ভিডিওটি সম্ভবত কোনো পন্যবাহী গাড়ির চালক বা মালিক রেকর্ড করেছেন । শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন,’এই ভিডিওটি গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের, পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে রাজবাঁধ গোপালপুর টোলপ্লাজার কাছে তোলা। একজন গাড়ির চালককে ওভারলোডিং এর বাহানায় ১০,০০০ টাকা দাবী করে এক সিভিক ভলান্টিয়ার, সেখানে কোনো পুলিশ আধিকারিক বা মোটর ভেহিক্যাল এর আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন না। গাড়ির চালক বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে তার উপর মারধর করার মিথ্যে অভিযোগ চাপানোর চেষ্টা করা হয়।’
তিনি লিখেছেন,’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অপ’শাসনে সারা রাজ্যে তোলাবাজি এখন ‘চপ শিল্প’ কে ছাড়িয়ে সব থেকে বড় শিল্প হয়ে উঠেছে। প্রাতিষ্ঠানিক তোলাবাজির যদি আইনি গ্রহনযোগ্যতা থাকতো তাহলে রাজ্যের কর আদায় কাঠামোর সব থেকে ওপরে স্থান করে নিতো তোলাবাজির উৎস।
আর রাজ্যের যে কোনো জাতীয় বা রাজ্য সড়কে প্রকাশ্য দিবালোকে আপনি দেখতে পাবেন হয় পুলিশ নিজে তোলা তুলছে, নয় চুক্তিভিত্তিক কোনো সিভিক ভলান্টিয়ার তোলা আদায় করছে। এদের আদায়ের বহর আঞ্চলিক পরিবহন অফিসের (RTO) থেকেও কয়েক গুণ বেশি হবে। রাজ্যের যত্র তত্র, যে কোনো রাস্তায় আপনার গাড়ির কাগজপত্র সব সঠিক থাকলেও আপনাকে তোলা দিতেই হবে, সৌজন্যে সেই মমতা পুলিশ। কেউ তোলা দিতে না চাইলে তাকে হেনস্থার সম্মুখীন হতে হবে।’
বিরোধী দলনেতার কথায়,’পশ্চিমবঙ্গের এটাই এখন বাস্তব চিত্র। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে এর পরিণতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। মানুষ অন্যায়কে বেশীদিন প্রশ্রয় দেয় না, কোনো দিন আইন অমান্য করতে শুরু করলে এই ঘুষখোর পুলিশ প্রশাসন সামাল দিতে পারবে না।’।