“সর্বোপনিষদোগাবঃ দোগ্ধা গোপালনন্দনঃ।
পার্থো বৎস, সুধীর্ভোক্তা, দুগ্ধং গীতামৃতং মহৎ ।।”
“উপনিষদরূপ গাভীগণ হইতে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের জন্য গীতারূপ অমৃত দোহন করিয়াছেন । বেদ ও অন্যান্য দর্শনশাস্ত্রের সার তত্ত্বগুলি গীতায় সংক্ষিপ্তভাবে সংগৃহীত। সেইজন্য গীতা পাঠ করিবার পূর্বে নিজেকে গীতাপাঠের উপযোগী করিয়া তুলিতে যে সমস্ত বিজ্ঞানশাস্ত্র পাঠের প্রয়োজন সেই সব শাস্ত্র অধ্যয়ন করা নিতান্ত আবশ্যক এবং ধৈর্যের সহিত গীতার প্রত্যেক শ্লোক সেই সব বিজ্ঞানশাস্ত্রের সহিত মিলাইয়া পাঠ করা একান্ত প্রয়োজনীয়। এই একমাত্র সত্য পন্থা অবলম্বন করিলে গীতার প্রকৃত অর্থ উপলব্ধি করিতে পারা যায়। ব্যাসদেব ঐ সব শাস্ত্রে পারদর্শী, বেদ এবং বেদান্ত প্রভৃতি দর্শনশাস্ত্রে বিশারদ ছিলেন; সুতরাং তাঁহার প্রণীত গ্রন্থ পাঠ করিয়া বুঝিতে হইলে যতদূর সম্ভব তাঁহার ন্যায় জ্ঞানী এবং তাঁহার ন্যায় মানসিক উৎকর্ষ লাভ করা প্রয়োজন । কেবলমাত্র সংস্কৃত সাহিত্য ও একটু ব্যাকরণ পাঠ করিয়া গীতা ব্যাখ্যা করিলে সেই ব্যাখ্যা যে ভ্রমদুষ্ট ও বিকৃত হইবে, ইহা সহজেই অনুমেয়।”
স্বামী শ্রী যুক্তেশ্বর গিরি কর্তৃক প্রণীত “গীতার তত্ত্ব” থেকে সংগৃহীত ।