এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৯ ডিসেম্বর : “আমাদের কাছে বাংলা ক্ষমতার লড়াই নয় । আমাদের কাছে বাংলা সভ্যতা বাঁচানোর লড়াই।আমরা যদি ভারতকে বাঁচাতে চাই, তাহলে বাংলাকে আগে বাঁচাতে হবে। আর আপনাদের আশীর্বাদে আমরা যেকোনো মূল্যে বাংলায় সরকার গঠন করব” – একথা বলেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ। তার এই মন্তব্যকে পূর্ণ সমর্থন করেছেন এরাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ।
শুভেন্দু অধিকারী তার এক্স হ্যান্ডেলে বিএল সন্তোষের মন্তব্যের ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে লিখেছেন,’পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্টি, সংস্কৃতি থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য সবকিছুই আজ তৃণমূলের অপশাসনে বিপন্ন। মানুষ এখন এই অপশাসন থেকে পরিত্রান পেতে চাইছেন। বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সম্মানীয় শ্রী বি এল সন্তোষ মহোদয় যথার্থই বলেছেন ভারতকে বাঁচাতে হলে সর্বাগ্রে বাংলাকে বাঁচানো অত্যাবশ্যক। জনগণের আশীর্বাদ নিয়ে শ্রদ্ধেয় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বাংলায় বিজেপি সরকার গঠনের পরই বৃত্তটি সম্পন্ন হবে।’
রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের মিডিয়া আউটলেট পাঞ্চজন্যে একটি সাক্ষাৎকারে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ করিয়ে পশ্চিমবঙ্গ তথা গোটা ভারতে জনবিন্যাসের পরিবর্তনের “ষড়যন্ত্র” চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএল সন্তোষ । আর এই “ষড়যন্ত্র”কে নস্যাৎ করতে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ক্ষমতায় আসা খুবই জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেছেন । এই প্রশ্নের উত্তরে বিএল সন্তোষ বলেছেন, ‘ভারতকে বাঁচাতে হলে বাংলাকে জেতা জরুরি ।
পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচানো এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বাংলায় আমাদের লড়াই ক্ষমতা বা সরকার গঠনের জন্য নয়। আজ, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বাংলার জনসংখ্যার পরিবর্তন করা হচ্ছে। বাংলার জনসংখ্যার এই পরিবর্তন ভারতের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে। আমাদের লড়াই বাংলার সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে বাঁচানোর জন্য।’ তিনি বলেছেন,’আমরা যদি ভারত এবং বাংলার সংস্কৃতিকে বাঁচাতে চাই, তাহলে সেখানে বিজেপি সরকারের ক্ষমতায় আসা একান্ত প্রয়োজন।’
বিজেপির কাছে ক্ষমতা দখল নাকি আদর্শ, কোনটা জরুরি ?
এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,ক্ষমতাই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের ক্ষমতা ছিল বলেই আমরা ৩৭০ ধারা অপসারণ করতে পেরেছি । আমাদের ক্ষমতা আছে বলেই আমরা সিএএ আনতে পেরেছি । আমাদের ক্ষমতা আছে বলেই আমরা ওয়াকফ বিল সংশোধন করতে পেরেছি । আপনার ক্ষমতা থাকলেই আপনি আপনার আদর্শ বাস্তবায়ন করতে পারবেন।আপনার আদর্শ প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় হলো ক্ষমতা।’।

