এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,২৯ মার্চ : ভোটের প্রচারে বেড়িয়ে কোনও প্রার্থীকেই পারতপক্ষে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর বাড়িতে ভোট ভিক্ষা করতে যেতে দেখা যায় না । কারন প্রতিদ্বন্দ্বীদের বাড়ি থেকে একটা ভোটও যে পক্ষে পড়বে না এটা নিশ্চিত । তাই যে কোনও দলের প্রার্থীই ভোট প্রচারে বেড়িয়ে বিরোধী দলের প্রার্থী বা নেতাদের বাড়ি সাধারনত এড়িয়ে চলেন । কিন্তু উলটো চিত্র দেখা গেল মালদা জেলার চাঁচল বিধানসভায় । সোমবার ভোটের প্রচারে বেড়িয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী দীপঙ্কর রামের বাড়িতে ভোট ভিক্ষা করতে যেতে দেখা গেল শাসকদল তৃণমূলের প্রার্থী নিহার রঞ্জন ঘোষকে ।
অনেকে বলছেন এটা রাজনৈতিক সৌজন্য । অবশ্য নিন্দুকদের দাবি এটা “পলিটিক্যাল গিমিক” । যদিও নিহার রঞ্জনবাবু জানিয়েছেন,দোলের শুভেচ্ছা জানাতেই তিনি বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে গিয়েছিলেন । তবে উদ্যেশ্য যাই হোক না কেন রাজনৈতিক হানাহানি রুখতে রাজ্য রাজনীতিতে এই ধরনের দৃষ্টান্ত আরও বেশি করে দরকার বলে মনে করছেন সাধারন মানুষ ।
সোমবার সকাল থেকেই দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে ডোর টু ডোর ক্যাম্পেন করছিলেন মালদহের চাঁচল বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নিহার রঞ্জন ঘোষ । যে গ্রামে তিনি ভোটের প্রচার করছিলেন ওই গ্রামেই বাড়ি চাঁচলের বিজেপি প্রার্থী দীপঙ্কর রামের । দলীয় কর্মীদের কাছে একথা জানতে পেরে দীপঙ্করবাবুর বাড়িতে সটান সপার্ষদ ঢুকে যান নিহাররঞ্জনবাবু । তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে আলিঙ্গন করেন । চলে কুশল বিনিময় । বর্ষীয়ান তৃণমূল প্রার্থীর পা ছুঁতেও দেখা যায় মধ্য বয়সী বিজেপি প্রার্থীকে । দুই দলের প্রার্থী ও কর্মীদের ক্ষনিকের জন্য হাসিঠাট্টাতে মেতে উঠতে দেখা যায় । অবশ্য ফিরে যাওয়ার আগে জোড়া ফুলে ভোট দেওয়ার আবেদন জানাতে ভোলেননি তৃণমূল প্রার্থী নিহাররঞ্জনবাবু । এদিকে এই ঘটনায় হতচকিত হয়ে যান গ্রামের বাসিন্দারা । বর্তমানে ভোটের মরশুম চলছে । এমতবস্থায় দুই যুযুধান দলের এই প্রকার সৌজন্য কতদিন বজায় থাকে সেদিকেই তাকিয়ে এলাকাবাসী ।
এই বিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী নিহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, ‘রাজনৈতিক মঞ্চে আমাদের শত বিরোধ থাকতেই পারে । তবে উৎসবে মতভেদ নেই । এটাই তৃণমূল সুপ্রিমোর আদর্শ ।’ অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী দীপঙ্কর রাম বলেন,’তৃণমূল প্রার্থী আমার বাড়িতে এসে পরিবারের মঙ্গল কামনা করলেন । দোলের উৎসবের শুভেচ্ছা বিনিময় হল । ওনার এই ব্যাবহারে আমি খুশি ।’।