প্রদীপ চট্টৌপাধ্যায়,বর্ধমান,০৮ জুলাই : ট্র্যাক্টরে চড়ে বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার পথে মালবাহী গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক নাবালক ও নাবালিকা সহ ৩ জনের । জখম হয়েছে আরও ৪ শিশু সহ ১১ জন বিয়েবাড়ির যাত্রী । বৃহস্পতিবার সকালে দুর্ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের দেবীপুর-কালনা রোডে মেমারি থানার পলতা গ্রামের কাছে । পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম রুপালি বাস্কে (৪২),লক্ষি মাণ্ডি(১৫) ও রাজদীপ বাস্কে (৭)। মৃত ও জখম ব্যক্তিরা সকলেই হুগলীর পাণ্ডুয়া থানার পয়রা চাঁদাইপাড়ার বাসিন্দা। জখমদের সবাইকে উদ্ধার করে বর্ধমানের ’অনাময়’ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্র্যাক্টর ও মালবাহী গাড়ি আটক করেছে পুলিশ ।৩ টি মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি পুলিশ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাণ্ডুয়ার পায়রা চাঁদাইপাড়ার আদিবাসী পরিবারের সদস্যরা বুধবার রাতে মেমারির থানার বুলবুলিতলা সংলগ্ন এলাকায় বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিল ।এদিন সকালে তারা সকলে ট্র্যাক্টরে চড়ে পাণ্ডুয়া ফিরছিলেন । পথে মেমারির পলতা গ্রামের কাছে বিপরিত দিকথেকে আসা নিয়ন্ত্রণহীন একটি মালবাহী গাড়ির সঙ্গে ট্র্যাক্টরটির সংঘর্ঘ হয় । সংঘর্ষের পরেই যাত্রীসমেত ট্র্যাক্টরের ট্রলিটি সড়কপথে উল্টে যায় ।এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান রুপালি বাস্কে । ঘটনার জেরে দেবীপুর- কালনা রোড অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে । খবর পেয়ে মেমারি থানার পুলিশ দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে পৌছায় ।
জখম অবস্থায় সড়কপথে পড়ে থাকা বিয়ে বাড়ির ১৩ জন যাত্রীকে পুলিশ উদ্ধার করে মেমারি হাসপাতালে নিয়ে যায় । সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের সবাইকে পাঠানো হয় বর্ধমানের ’অনাময়’ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় জখম এক নাবালক ও নাবালিকার । দুর্ঘটনাগ্রস্ত দুটি গাড়ি পুলিশ সড়ক পথ থেকে সরিয়ে নেবার পর দেবীপুর কালনা রোডে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয় ।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মালবাহী গাড়ির চালক গাড়ি চলাতে চালাতে ঘুমিয়ে পড়াতেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে । দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ মালবাহী গড়ির চালককে আটক করেছে ।।