এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,২৬ জুন : বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে দ্বারকেশ্বর নদীতে স্নান করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গেল নবম শ্রেণির তিন পড়ুয়া । তার মধ্যে দুজনার মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা । জানা গেছে ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার । বিষ্ণুপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ৮-১০ জন পড়ুয়া দুপুর প্রায় একটা নাগাদ স্কুল থেকে পালিয়ে সাইকেলের চড়ে সুভাষপল্লী লাগোয়া দ্বারকেশ্বর নদের ষাড়েশ্বর ঘাটে স্নান করতে গিয়েছিল। তারা পাড়ে সাইকেল গুলো রেখে সাঁতরে নদীর ওপাড়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল । কিন্তু তাদের মধ্যে পরমেশ্বর মিত্র, অর্কদীপ দাস এবং সায়ন চট্টোপাধ্যায় নামে তিনজন ছাত্র নদীর জলের প্রবল স্রোতে তলিয়ে যায় ।
জানা গেছে,ওই তিন পড়ুয়াকে হাবুডুবু খেতে দেখে তাদের বাকি সঙ্গীরা চিৎকার করে সাহায্যের জন্য লোকজন ডাকে । তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজনরা ছুটে আসে । এদিকে খবর চাওড় হয়ে গেলে পরিবারের লোকজন এবং আশপাশের গ্রামের বহু মানুষ নদীর পারে এসে জড়ো হন । তারা নিখোঁজ টিন পড়ুয়ার সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেন । পরে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ নিখোঁজ পড়ুয়াদের সন্ধান শুরু করে। এরপর বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। স্পিড বোট নিয়ে নদীতে তল্লাশি শুরু করে। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা নদীর জলে নেমে ওই পড়ুয়াদের সন্ধান চালাতে থাকে । কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তল্লাশি চালানোর পরেও ওইদিন পড়ুয়ার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি ।
জানা গেছে,দুর্গাপুরও আসানসোলের বিপর্যয় মোকাবিলা দল বুধবার সকাল থেকে ফের তল্লাশি অভিযান শুরু করে । দীর্ঘক্ষণ তল্লাশির পর নদীর জল থেকে পরমেশ্বর মিত্র এবং অর্কদীপ দাসের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় । পরে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ দেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর হাসপাতালে পাঠায় । এদিকে এই ঘটনার পর কোন কর্তৃপক্ষের ভূমিকাকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে তুলে দিয়েছে । স্থানীয়দের অভিযোগ যে কুলে নজরদারির অভাবে ওই তিন পড়ুয়া স্কুল থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছে । যদি সঠিক নজরদারি করত স্কুল কর্তৃপক্ষ তাহলে ওই ৩ কিশোরের প্রাণ হারিয়ে এভাবে ঘটতো না । এ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তারা ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন ।।