এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৫ ডিসেম্বর : গত মাসে বারাণসীতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করার সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন আইজি অফিসার পঙ্কজ দত্ত (৭৩) । তাঁর সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়। তাকে বারাণসীর ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছিল । কিন্তু গত শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার । এই প্রাক্তই আইপিএসের মৃত্যুর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, কলকাতা পুলিশ এবং বড়তলা থানার পুলিশকে দায়ি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । পাশাপাশি তিনি বড়তলা থানার পুলিশ আধিকারিকদের মুখের উপর বলেন, ‘মুখে আলকাতরা মেখে বসে থাকুন । মানুষ ওগুলো? ওগুলো মানুষ ? মমতার পা চাটতে চাটতে কোথায় গেছে !’
পঙ্কজ দত্তর আত্মার শান্তি কামনায় আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তর কলকাতার বড়তলা থানার সামনে হাতে মোমবাতি ১০ মিনিট নীরবতা পালন করেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির পরিষদীয় দল । কর্মসূচির পর শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’আপনারা জানেন রাজ্যের একজন প্রতিবাদী কন্ঠস্বর প্রাক্তন আইপিএস পঙ্কজ দত্তকে মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে এই বড়তলা থানা, কলকাতা পুলিশের কলঙ্ক, তিনবার ডেকেছিল । উনি একবার এসেছিলেন । ওনাকে আধঘন্টা ধরে এক কাপ চা এক গ্লাস জল না দিয়ে অত্যাচার করেছিল । এই বড়তলা থানায় তাকে নির্মম মানসিক কষ্ট দেওয়া হয়েছে । পঙ্কজ দত্তের মৃত্যুর জন্য দায়ী মমতা ব্যানার্জি, কলকাতা পুলিশ এবং বটতলা থানা ।’
তিনি বলেন,’রাজ্যবাসী যদি ২০২৬ সালের ক্ষমতার পরিবর্তন করে তাহলে আমরা কমিশন বসাবো এবং এরা অবসর নিলেও এরা যাতে জেলে যায়, মমতার আজ্ঞাবহরা, তার ব্যবস্থা করব ।’ জলন্ত মোমবাতি দেখিয়ে শুভেন্দু বলেন,’আমরা এই অগ্নীকের সাক্ষী রেখে বলে গেলাম । এরা পাতালে থাকলেও খুঁজে তুলে এনে যা করার করব । অগ্নিকে সাক্ষী রেখে বলে গেলাম ।’ কর্মসূচি শেষে চলে যাওয়ার সময় উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু বলেন,’মুখে আলকাতরা মেখে বসে থাকুন । মানুষ ওগুলো? ওগুলো মানুষ ? মমতার পা চাটতে চাটতে কোথায় গেছে !’
প্রসঙ্গত,পঙ্কজ দত্ত কর্মজীবনে মালদহের পুলিশ সুপার, সিআইডি এবং গোয়েন্দা বিভাগের বিভিন্ন পদে কৃতিত্বের সঙ্গে কাজ করেছিলেন । দুর্নীতির সঙ্গে তিনি কখনো আপোষ করেননি তিনি । অবসর জীবনে বিভিন্ন বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে নিয়মিত যোগ দিতেন তিনি। আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে একটি অনুষ্ঠানে তিনি খোলাখুলি শাসকদলের সমালোচনা করেছিলেন । এরপর থেকে তিনি শাসকদলের রোষের মুখে পড়েন ।।