এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,২১ এপ্রিল : এবারে সেনা আবাসনেই খুন হয়ে গেছেন বাংলাদেশের এক হিন্দু সেনা সদস্য । নিহতের নাম দুর্জয় শীল । বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বনানী সেনানিবাসে তার ইউনিফর্ম পরা নিথর দেহ উদ্ধার । যে অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে তা খুবই সন্দেহজনক । কারন দুর্জয় শীলের দেহটি ঘরের সিলিং ফ্যানের ঠিক নিচেই দাঁড় করাছিল এবং একটা দড়ি আলগাভাবে সিলিং ফ্যান থেকে তার গলায় জড়ানো অবস্থায় দেখা যায় । পুলিশ ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করলেও স্থানীয় হিন্দুদের দাবি সহকর্মীরাই পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে ওই হিন্দু যুবককে ।
তবে এটাই প্রথম ঘটনা নয়, এর আগে একাধিক অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে । সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে সামরিক ও পুলিশের হিন্দু সদস্যদের ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে । উদ্বেগ বাড়ছে যে এটি বিচ্ছিন্ন নয় বরং লক্ষ্যবস্তু হত্যার(Target Killing) ইসলামি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির একটি গোপন ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে। অভিযোগ উঠেছে যে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার বর্তমান প্রধানের ইসলামি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জামায়াতে ইসলামীর সাথে সম্পর্ক রয়েছে, যা পদ্ধতিগত পক্ষপাতের আশঙ্কা জাগিয়ে তুলেছে। এটি কি প্রশাসন এবং সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে হিন্দু সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নীরব গণহত্যার অংশ? এই প্রশ্ন তুলছেন বাংলাদেশের হিন্দুর । তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তদন্ত এবং ন্যায়বিচারে উদ্যোগী হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন ।
তবে বাংলাদেশের হিন্দুদের নরসংহার উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস থাকা অবস্থায় যে সম্ভব নয় তা দিনাজপুরের হিন্দু নেতা ভবেশ চন্দ্র রায়ের খুনের ঘটনাতেই প্রমানিত । নয়াদিল্লি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর ‘সংগঠিত নিপীড়নের ধারাবাহিকতার’ অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছিল । কিন্তু মহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম শনিবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) কাছে বলেছেন,এই নির্দিষ্ট ঘটনায়, আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে নিহত পূর্বপরিচিত কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে বাইরে গিয়েছিলেন। তার পরিবার কারও সঙ্গে বাইরে যাওয়া নিয়ে কোনো সন্দেহজনক বিষয় জানাননি।’ যদিও বাস্তবে ভবেশ চন্দ্র রায়কে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল কয়েকজন মুসলিম যুবক এবং তারা তাকে পিটিয়ে মেরে দেহটা বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে যায় । এটাও একটা টার্গেট কিলিংয়ের ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে ।।