চিকিৎসককে সাধারণ মানুষ ভগবানের পরের দরজা দিয়ে রেখেছেন । কিন্তু শ্রীলংকার এমনই এক চিকিৎসক ছিলেন যিনি পবিত্র এই পেশাকেও ইসলামীকরণ করে দিয়েছিলেন । স্পষ্ট করে বলতে হয় যে কাফেরদের নির্মূল করতে এক অভিনব “জিহাদ” করেছিলেন এই মুসলিম চিকিৎসক । তাকে সন্ত্রাসবাদ সহ বহু মামলায় গ্রেফতার করেছিল শ্রীলঙ্কার পুলিশ । আর ওই জিহাদী চিকিৎসকের নাম ডাঃ সিয়াবদিন মোহাম্মদ সফি (Dr: Siyabdeen Mohamed Safi)৷ সন্দেহজনকভাবে সম্পদ সংগ্রহ করা এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তথ্য পাওয়ার পর শ্রীলঙ্কার কুরুনেগালা পুলিশ ২০১৯ সালের ২৪ মে তাকে গ্রেপ্তার করে। ডঃ সাফিকে সন্ত্রাস প্রতিরোধ আইন (PTA) এবং জরুরী প্রবিধানের অধীনে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল । পরে তাকে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয় ।
কিন্তু কি ছিল তার অপরাধ ? আসলে ডাঃ সিয়াবদিন মোহাম্মদ সফির অপরাধের কথা শুনলে যেকোনো সাধারণ মানুষ চমকে উঠবেন । এই প্রতিবেদনে ওই মুসলিম সন্ত্রাসী চিকিৎসকের কুখ্যাত কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হলো :-
শ্রীলঙ্কার একটি জায়গা করুণেগালা ! এখানে একটি খুব পুরানো এবং নামী হাসপাতাল আছে… করুণেগালা টেকনিক্যাল হাসপাতাল! পুরো শহরে একটি মাত্র হাসপাতাল তাই সেখানে প্রচুর ভিড় হয়… যেহেতু শহরটিতে সিংহলি ও তামিল হিন্দু অধ্যুষিত, তাই সাধারণ রোগীরা মূলত এই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত… অল্প কিছু পরিবার মুসলমান… যেহেতু হাসপাতালটি স্বনামধন্য, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রয়েছে,তাই এখানে অনেক রোগী দূর দূরান্ত থেকে চিকিৎসা করাতে আসে । আর এই হাসপাতালের গাইনোকোলজি বিভাগের প্রধান ছিলেন ডাঃ সিয়াবদিন মোহাম্মদ সফি (Dr: Siyabdeen Mohamed Safi) । যিনি একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ… ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া মুসলিম…।
২০১৯ সালে শুরুর দিকে লক্ষ্য করা যাচ্ছিল যে ডাঃ সিয়াবদিন মোহাম্মদ সফি একজনও মুসলিম মহিলাদের বন্ধ্যাকরণের অপারেশন করেননি এবং তাদের বন্ধ্যাকরণের অসুবিধাগুলি বলে বন্ধ্যাকরণ করাতেন না । তিনি শুধু অমুসলিমদের বন্ধ্যাকরণ করাতেন । উদ্দেশ্য কাফেরদের নির্মূল করা৷ আর তিনি তার প্রচেষ্টায় অনেকাংশে সফলও হয়েছিলেন । আশ্চর্যজনকভাবে, ডাঃ সাহেব কলম্বো এবং করুণেগালার মতো জায়গায় ১৭ টি সম্পত্তির মালিক ছিলেন, যার মূল্য প্রায় ৪০০ কোটি টাকা।
তার হাসপাতালে, একজন গর্ভবতী নার্স ডাক্তার মোহাম্মদ সিয়াবদিনের কাছে গিয়েছিলেন এবং নার্সকে অবিলম্বে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া হয়েছিল,জ্ঞান ফিরলে তিনি জানতে পারেন যে তিনি মৃত ভ্রুণ প্রসব করেছেন । কিছু দিন পর যখন সেবিকা সুস্থ হয়ে বাড়িতে আসে, তখন তার শরীরে অদ্ভুত কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হন । যখন আল্ট্রাসাউন্ড করা হয় তখন দেখা যায় নার্সের জরায়ু বের করে নেওয়া হয়েছে… পুলিশ যখন ডাঃ মোহাম্মদ সিয়াবদিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তখন জানা যায় যে ডক্টর সিয়াবদিন ওই মহিলার অজান্তে গোপনে জরায়ু অপসারণ করেছেন৷ আর তখন স্পষ্ট হয় যে ভ্রূণ গর্ভাবস্থায় মৃত ছিল না,বরঞ্চ ডাঃ সিয়াবদিন মোহাম্মদ সফি মেরে ফেলেছে ।
সংবাদপত্রে খবরটি প্রকাশিত হলে এবং চ্যানেলে প্রচারিত হলে, এটি শ্রীলঙ্কায় ঝড় তুলেছিল… কারণ শত শত মহিলা, যারা গর্ভাবস্থা সংক্রান্ত কোনো হাসপাতালে ডাক্তার মোহাম্মদ সিয়াবদিনের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছিলেন, হাসপাতালে ছুটে আসেন। হাসপাতালে, এই সিংহলী এবং হিন্দু মহিলাদের পরীক্ষা করা হলে দেখা যায় যে ডাঃ মোহাম্মদ সিয়াবদীন তাদের সকলকে না জানিয়েই… প্রসবের সময় অপরাধমূলকভাবে বন্ধ্যাকরণ করেছিলেন ! কড়া জিজ্ঞাসাবাদে, ডাঃ সিয়াবদিন মোহাম্মদ সফি জানান যে গত ১৫-২০ বছরে, তিনি এই ধরনের প্রায় ৪০০০ অপারেশন করেছেন, যেখানে সিংহলি ও হিন্দু মহিলাদের বন্ধ্যাকরণের মাধ্যমে বন্ধ্যা করা হয়েছিল। ডাক্তারের কম্পিউটার ও ল্যাপটপ থেকেও প্রচুর ডাটা উদ্ধার করা হয় ।
এখন বিষয়গুলো প্রকাশ্যে আসছে.. ডাঃ সিয়াবদিন মোহাম্মদ সফি… সন্ত্রাসী সংগঠন ‘তাওহীদ জামাত’-এর সঙ্গে যুক্ত… এই ইসলামিক সংগঠন… সরাসরি আইএসআইএস -এর সঙ্গে যুক্ত এবং শ্রীলঙ্কার গীর্জায় এবং শ্রীলঙ্কায় হোটেল বিস্ফোরণে যে ৪০০ জন নিহত হয়েছিল সেই নাশকতার জন্য দায়ী!
বিগত ২০ বছরে অমুসলিম মহিলাদের অজান্তেই তাদের বন্ধ্যাত্বকরণ করে করে হাজার হাজার সিংহলী ও হিন্দু হাজার হাজার শিশুর জন্ম রোধ করে দিয়েছিল ওই মুসলিম চিকিৎসক । যার চিরস্থায়ী প্রভাব ভুগতে হবে এলাকার অমুসলিম জনগোষ্ঠীকে ।
সিয়াবদিন মোহাম্মদ সফির এই জিহাদ আমেরিকায় ডবলুটিসি (WTC) আক্রমণ করে ৩০০০ মানুষকে হত্যার চেয়ে হাজার গুণ বড়! ফ্রান্সে ট্রাক দিয়ে পিষে ৯০ জনকে হত্যার অপরাধের কাছে এই জিহাদ নগন্য মাত্র৷ অন্যান্য যেকোনো ইসলামী নাশকতা থেকে সিয়াবদিন মোহাম্মদ সফির এই জেহাদি হামলা বহু গুণ ধ্বংসকারী । কারণ রোগী…ডাক্তারকে ভগবান মনে করে…আর এই ডাক্তার রূপী নরপশু বহু অমুসলিম নারীর সন্তান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আশা ধ্বংস করে দিয়েছে…কারন তারা তার কাছে শুধু কাফের। ওই জিহাদী চিকিৎসকের নজরে অমুসলিমদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই… তাই জরায়ু নির্বীজন ও অপসারণের মাধ্যমে ভ্রূণ গঠনের সম্ভাবনা দূর করা উচিত ।
ডাঃ সিয়াবদীন মোহাম্মদ সাফির বিরুদ্ধে বন্ধ্যাকরণ মামলার অভিযোগের সংখ্যা বেড়ে ২০১৯ সালের জুনের প্রথম দিকে দাঁড়িয়েছিল ৩৭৭ টি । যে মায়েরা অভিযোগ দায়ের করেছেন তারা হলেন নরমমালা, কুলিয়াপিটিয়া, গোকারেল্লা, পোলগাহাওলা, ওয়েলওয়া, পোলপিথিগামা, বারন্দানা, কাতুপিটিয়া, মাওয়াথাগামা, ডাম্বুল্লা, সিগিরিয়া এবং গালেওয়েলার বাসিন্দা। শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য মন্ত্রক ৪২ বর্ষীয় এই ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের জন্য একটি বিশেষ কমিটি চালু করে, যার মধ্যে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং শ্রীলঙ্কা মেডিকেল কাউন্সিলের প্রতিনিধিরাও ছিলেন ৷।