এইদিন ওয়েবডেস্ক,পুরী(ওড়িশা),০৪ এপ্রিল : দ্বাদশ শতাব্দীতে নির্মিত ওড়িশার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রান্নাঘর নিয়ে পূণ্যার্থীদের মধ্যে কৌতুহলের অন্ত নেই । উনুনে মাটির হাঁড়ির উপর হাঁড়ি বসিয়ে তৈরি করা হয় জগন্নাথদেবের ৫৬ ভোগ । সেই ‘মহাপ্রসাদ’ আনন্দবাজারে বিক্রি করা হয় বিভিন্ন দামে । ৮০০ বছরের অধিক প্রাচীন এই রান্নাঘরটি রয়েছে সমুদ্রতল থেকে ২০ ফুট উচ্চতায় । দেড় হাজার বর্গফুট জায়গার মধ্যে রয়েছে ২৪০ টি উনুন । ৪০০ জন পাচক এবং ২০০ জন সহযোগী মিলে উনুনের সামনে দাঁড়িয়ে তৈরি করেন জগন্নাথ দেবের মহাপ্রসাদ ।
এহেন প্রাচীন ও অতিহ্যবাহী এই মন্দিরের রান্নাঘরে ঘটে গেল অভুতপূর্ব এক ঘটনা । রবিবার পাচকরা মহাপ্রসাদ তৈরি করতে গিয়ে দেখেন রান্নাঘরের ৪০ টি মাটির উনুন ভাঙা অবস্থায় রয়েছে । যদিও তাতে মহাপ্রসাদ তৈরিতে বাধা হয়নি । আধ ঘন্টা খানেক দেরি হয় জগন্নাথদেবের ভোগ রান্না করতে । তবে এই ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ভক্ত মহলে । খবর পেতেই নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন । ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলাশাসক সমর্থ ভার্মা ।
তবে ঘটনাটি যে অলৌকিক নয়,বরঞ্চ জগন্নাথদেবের সেবাইতদের একাংশের কীর্তি সে বিষয়ে নিশ্চিত পুলিশ ও পূণ্যার্থীরা । শনিবার সন্ধ্যা রূপ আরতি এবং রাজভোগের পর তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের । জেলাশাসক জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে । পুলিশ ও মন্দির প্রশাসন যৌথভাবে বিষয়টি তদন্ত করবে । তিনি আরও জানান, নষ্ট হয়ে যাওয়া উনুনগুলি স্বাভাবিক হতে দিন দুয়েক সময় লাগবে ।।