এইদিন ওয়েবডেস্ক,লক্ষ্ণৌ,১১ নভেম্বর : “হোয়াইট -কলার সন্ত্রাসী বাস্তুতন্ত্র”-এর মধ্যে রয়েছে এক মহিলা চিকিৎসকেরও নাম । ডাঃ শাহীন শহীদ নামে ওই মহিলা চিকিৎসককে উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌ থেকে গ্রেপ্তার করেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ । শাহিনের গাড়ি থেকে একটি AK-47 উদ্ধার করা হয়েছে। শাহিনের জৈশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) এবং আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দ (এজিইউএইচ) এর মত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে যোগসূত্র রয়েছে বলে জানা গেছে। সে হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া আরও এক সন্ত্রাসী চিকিৎসক ডঃ মুজামিল শাকিলের সহযোগী ও বান্ধবী ৷ এই সন্ত্রাসী মডিউলে এখনও পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক । জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ শাহিনকে হেফাজতে নিয়েছে।
পুলিশ জানতে পেরেছে, শাহিনের সাথে পাকিস্তানের একটি নেটওয়ার্কের যোগাযোগ ছিল। ডাঃ শাহীন ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথেও যুক্ত ছিল । জম্মু ও কাশ্মীর এবং দিল্লির মধ্যে শাহিনের অসংখ্য ভ্রমণের রেকর্ডও পাওয়া গেছে। তদন্তকারী সংস্থাগুলি এখন তার মোবাইল ডেটা, ব্যাংকিং রেকর্ড এবং আন্তর্জাতিক কলের বিবরণ পরীক্ষা করছে।
উল্লেখ্য, শাহিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল একটি সন্ত্রাসী মডিউলের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে। এই মডিউলের প্রধান সন্ত্রাসী মুজাম্মিল, ডাঃ আদিল আহমেদ এবং ইমাম ইরফান সহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২,৯০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক এবং অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে । তার মধ্যেই গতকাল সন্ধ্যায় দিল্লির লাল কেল্লার সামনের বিস্ফোরণে সন্ত্রাসী সংযোগের প্রমাণ মিলেছে। যে হামলা অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু এবং ২৪ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে । দিল্লির বিস্ফোরণের বিষয়ে গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, একটি ইকো ভ্যান ব্যবহার করে করা একটি আইইডি বিস্ফোরণ ছিল । ফলে ভারতের শিক্ষিত মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পড়ার এই নতুন ট্রেন্ড একদিকে যেমন চরম উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, পাশাপাশি নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে ।।

