এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৩ অক্টোবর : গতকাল কালীপূজোতে “জিহাদি” ও পুলিশের হামলা নিয়ে একের পর এক টুইট করে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । এবারে আসানসোলে ‘বিশাল চিটফান্ড জালিয়াতি’তে তৃণমূল নেতার ছেলে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে ফের বোমা ফাটালেন তিনি । শুভেন্দু অধিকারী এক্স-এ একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন,’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল চাকরি চুরি থেকে শুরু করে যত রকম জালিয়াতি করা যায় প্রায় সবেতেই সিদ্ধহস্ত।’
তিনি লিখেছেন,’আসানসোলে সম্প্রতি একটি বিশাল চিটফান্ড জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। এই চিটফান্ড কম্পানির যিনি মাথা তার নাম তহসিন আহমেদ। এই তহসিন আহমেদ আবার পশ্চিম বর্ধমান জেলা সংখ্যালঘু তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শাকিল আহমেদ ওরফে মাস্টার শাকিলের ছেলে। তাহসিন আহমেদ এবং তার দল ৩০০০ জনেরও বেশি লোকের কাছ থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা এই চিটফান্ড থেকে আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ।
১০০,০০০ টাকা চিটফান্ড কোম্পানিতে ২০ মাসের জন্য বিনিয়োগ করলে প্রতি মাসে ১৪,০০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত। অর্থাৎ ২০ মাস পূর্ণ হওয়ার পর ২৮০,০০০ টাকা এবং ১০০,০০০ টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত যা একেবারেই অসম্ভব। তহসিনের এই প্রলোভনে প্রায় ৩০০০ জনের ও বেশী সাধারণ মানুষ প্রতারিত হয়েছেন। কেউ ঋণ নিয়ে টাকা দিয়েছে, কেউ জমি বিক্রি করে টাকা দিয়েছে, কেউ তার মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো টাকা দিয়েছে, কেউ তেহসিনের মিথ্যা অজুহাতে তার সারা জীবনের সঞ্চয় উজাড় করে দিয়েছেন। গত ৩ বছর ধরে এই তহসিন আসানসোল এবং এর আশেপাশের এলাকার মানুষের থেকে তার ভুয়া ও লাইসেন্সহীন কম্পানির নামে টাকা তুলেছে। তার পর টাকা দিতে না পারায় ১৫ তারিখ থেকে বেপাত্তা।
তিনি আরও লিখেছেন,’তহসিনের এই কাজে শাসক দলের বড় বড় নেতা এবং প্রশাসনের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে। এবং এই টাকা বেনামি সম্পত্তি কেনা, সন্ত্রাসী তহবিল, রাজনৈতিক তহবিল এবং দেশবিরোধী কার্যকলাপে ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা তাও তদন্তের বিষয়।’ সব শেষে তিনি লিখেছেন,’আমি অবিলম্বে এই বিষয়ে সেবি ও ইডি-র আইনি হস্তক্ষেপের দাবি করছি, এবং অবিলম্বে প্রতারিতদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
গতকাল শুভেন্দু অধিকারী বিশেষ করে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ বিধানসভার সূর্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উত্তর চন্দনপুর গ্রামের পুজো মণ্ডপের দেবী কালীর প্রতিমার মাথা কেটে নিয়ে যাওয়ার পর সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি । শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ,’কোটেশ্বর রাও, কয়েকশো পুলিশ নিয়ে মা কালীর ভাঙ্গা মূর্তিটি প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে পালিয়ে গেছে ।’ পাশাপাশি তিনি রাজ্যের হিন্দুদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি বার বার বলেছি পশ্চিমবঙ্গ কে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে, হিন্দুরা এখনি না জাগলে সমূহ বিপদ অপেক্ষা করছে আগামী দিনে ।’।

