এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৩ এপ্রিল : কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বিতান অধিকারী ও সমীর গুহর নিথর দেহ এসে পৌঁছালো কলকাতা বিমানবন্দরে ৷ বিমানবন্দরে তার আগেই উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল, রুদ্রনীল ঘোষ সহ বিজেপি নেতারা । বিতান অধিকারীর স্ত্রীর চোখে মুখে ছিল আতঙ্কের ছাপ । তাদের সন্তানকে কোলে নিয়ে তার সমস্ত কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ বিতান অধিকারীর স্ত্রী ব্যাকুল হয়ে বলেন,’ ওর চোখের সামনে ওর বাবাকে মেরে দিয়েছে ।’ একথা শুনে শুভেন্দু অধিকারীকে যথেষ্ট উত্তেজিত হতে দেখা যায়৷ তিনি বলেন, হিন্দুস্থানে হিন্দুকে খুন করবে । গাজা শেষ হয়েছে, ইসরাইল শেষ করেছে । আমরাও শেষ করব । মোদির শিষ্য আছি । মোদীর বাচ্চা আমরা ।’ বিতান অধিকারীর স্ত্রী বলেন,’আমার স্বামী বিজেপিকে খুব সাপোর্ট করতো স্যার । আমি শুধু আপনার ভরসায় এসেছি ।’ কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, আমার হাজবেন্ডটা আপনাদের খুব মানতো স্যার । আমাকে হেল্প করুন ।’ শুভেন্দু অধিকারী তার চোখ মুছে দেন ।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ভারতীয় হিন্দু বলে এদের খুন করা হয়েছে, এরা শহীদ । মুখ্যমন্ত্রীসহ যারা ভন্ড সেকুলার… মুখ্যমন্ত্রীর এক্স হ্যান্ডেলে তিনটে পোস্ট দেখবেন কোথাও ইসলামিক টেরোরিজম বলেনি । মুসলমান ভোটের ভয় । এটা ইসলামিক টেরোরিজম । ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী যেমন গাজাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছেন এই সন্ত্রাসবাদে যারা যুক্ত তাদেরকেও মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া উচিত । আমরা ভারতীয় সনাতনীরা ২৬০ টা জিহাদীর দেহ চাই । হিন্দু বলে ২৬ টা মেরেছে, আমরা ২৬০ টা দেহ চাইছি । ২৪ ঘন্টার মধ্যে দিতে হবে । প্রধানমন্ত্রী আর্মি এবং প্যারা মিলিটারি ফোর্সকে অনুরোধ করছি ।’
তিনি বলেন,’এখানে অবৈধভাবে মাইক বাজিয়েছে । আমি বিতান অধিকারীর স্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ । মমতার নির্দেশে এখানে মন্ত্রীরা এসে নাটক করছিল । আমি পৌঁছনোর পর সরাসরি বলেছে যে আমার স্বামীকে কলমা পড়তে বলেছিল । আমার স্বামী হিন্দু কলমা পড়তে জানে না তাই গুলি করে মেরে দিয়েছে । সমীর গুহের স্ত্রী সরাসরি বলেছেন যে মোদীর লোক বলে মেরেছে । তৃণমূলের কাউন্সিলর অসীম বসুর সামনে বলেছে । প্রমাণ হয়ে গেছে ভারতীয় এবং হিন্দু বলে খুন করেছে । সত্য স্বীকার করুন । ভারতীয় সনাতনীরা ঐক্যবদ্ধ হন ।
তৃণমূলের ন্যাক্কারজনক কাজ
তবে সবথেকে ন্যাকারজনক কাজ করেছে এ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস । বিমানবন্দরেই মাইকে ঘোষণা করে নিহতদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় । যা স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়নি সাধারণ মানুষ ।
তসলিমা নাসরিনের কঠোর প্রতিক্রিয়া
এদিকে পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর সন্ত্রাসী হামলায় তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশী বংশভূত লেখিকা তসলিমা নাসরিন৷ তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ইসলাম যতদিন বেঁচে থাকবে, ততদিন সন্ত্রাস বেঁচে থাকবে। ইসলাম যতদিন বেঁচে থাকবে, ততদিন অমুসলিমদের কোনও নিরাপত্তা থাকবে না, মুক্তচিন্তক এবং যুক্তিবাদীদের কোনও নিরাপত্তা থাকবে না, নারীর কোনও নিরাপত্তা থাকবে না।
ইসলাম যতদিন বেঁচে থাকবে, ফুল শুকিয়ে যেতে থাকবে, শিশুরা মরে যেতে থাকবে, বৃষ্টির মতো ঝরে পড়তে থাকবে লক্ষ লক্ষ মৃত পায়রা, ইসলামের গর্ভ থেকে জন্ম নিতে থাকবে ঘৃণা, জন্ম নিতে থাকবে কুৎসিত দানব। ইসলাম যতদিন বেঁচে থাকবে, ততদিন সভ্য হবে না কোনও রাজ্য, কোনও রাষ্ট্র, সভ্য হবে না পৃথিবী।’।
